কঠোর তপস্যায় শিবে করিয়া তুষ্ট,
দুই বর লাভ করে ভস্মাসুর দুষ্ট।
প্রথম বরেতে সে হইল অমর,
অতঃপর, মাগি লয় দ্বিতীয় বর–
যাহার মাথায় সে রাখিবেক হাত,
সেই ব্যক্তি ভস্মীভূত হবে তৎক্ষণাৎ।
নিজের ক্ষমতা কত পরীক্ষা সে চায়,
তার হাত রেখে দিয়ে শিবের মাথায়।
ভীত শিব বিষ্ণুলোকে পলাইয়া যায়,
পশ্চাতে ভস্মাসুর হাজির সেথায়।
বিষ্ণুর কথায় হাত রাখে নিজ মাথায়,
বুদ্ধিহীন ভস্মাসুর ভস্ম হইয়া যায়।


ভস্মাসুর পুড়িল, তবু মরিল না,
অমর বরেতে প্রাণ পেল ভস্মকণা।
লক্ষ ভস্ম কণা মর্ত্যে ছড়িয়া পড়িল,
লক্ষ অমর ভস্মাসুর জীবন লভিল।
মানব মনেতে সে জীবিত রহিল,
আপন ধ্বংসলীলা করিতে লাগিল।
বায়ু,জল, পরিবেশ করিয়া দূষণ,
হইল সে জীবকুলে মৃত্যুর কারণ।
মানব ধ্বংসের তরে নানা মারণাস্ত্র,
সৃষ্টি করিতে সে সদা শশব্যস্ত।
বুদ্ধিহীন ভস্মাসুর অমর বরেতে,
নির্বোধ মানবরূপে জীবিত ধরাতে।
              ---০০০---