বোশেখের পরে মাস, নাম আমার জ্যোষ্ঠী;
এসে গেছি সাথে নিয়ে জামাইষষ্ঠী।
সাথে আরও আছে পাকা আম, জাম, লিচু–
ফ্রি পাবে কড়া রোদ, গরমও কিছু।


জ্যোষ্ঠী, তোমার গরমের কথা আর বোলো না বেশী;
কষ্ট তাদের, নেইকো যাদের ঘরের ভেতর এসি।
যাবার বেলায় বোশেখ আমায় বলেছিল বটে,
আসছে জ্যোষ্ঠী, বুঝবে ঠেলা- জল পাবে না মোটে।
তাইতো বলি জ্যোষ্ঠী তোমায়, দুষ্টু তুমি বড়ো–
নদী-নালা পুকুর কেন জলশূন্য করো?
কিসের এতো তেজ তোমার, রাগ বুঝি খুব ভারী?
বরুণদেবের সঙ্গে তোমার কিসের এতো আড়ি?


ঠিক বলেছো, ঠিক বলেছো, জল শুষে নিই আমি।
মনে রেখো একটা কথা, কিন্তু ভীষণ দামী–
নদী-নালার জলেই আমি মেঘ বানিয়ে রাখি,
সেই মেঘেতেই বৃষ্টি নামায় আমার আষাঢ় সখী।
তাইতো ধরণী শীতল হয়, আষাঢ়ে বারি ঝরে;
পথ,মাঠ, ঘাট জলে ভাসে, ক্ষেত ফসলে ভরে।
প্রকৃতির নিয়ম এ যে, জেনো ঠিক ঠিক ভাই;
কারও ওপরে এই জ্যোষ্ঠীর কোনো রাগ নাই।
                    -–০—-