পূজোর দিনে মণ্ডপেতে দেখছে সবাই ঠাকুর,
ভীড়ের মাঝে পথ হারিয়ে ঢুকল একটা কুকুর–
লাঠি হাতে করল তাড়া পাহারাদার তাকে,
ভীত কুকুর দৌড়ে এল দেখেই আমাকে।
থরথর কাঁপছে শরীর, চাইছে আশ্রয়;
কোলে তুলে নিলাম তাকে করতে নির্ভয়।
বাড়ি এনে দিলাম তাকে খাবার অল্প কিছু,
খুশী হয়ে সারা বাড়ি ঘুরল আমার পিছু।
পথ ভুলে সে এসেছিল, নাম হলো তাই ভোলা;
বুঝতো ভোলা সব কিছুই, হলেও অবলা ।


কালীপুজোর বিসর্জনে আওয়াজ ভীষণ ভারী–
বোম,বাজনা, ডিজে নিয়ে চলছে তাদের গাড়ি।
সেই শব্দে অসুস্থ মা কষ্ট পাচ্ছে ঘরে,
শব্দ কম করতে তাদের বলি করজোড়ে।
ক্ষিপ্ত নেতা, হাতে পিস্তল ঢুকল আঙিনায়;
হুমকি দিল,‘‘দেখে নেব,আয় বেরিয়ে আয়‘‘।
ভীত আমি– লুকাই ছাদে, ভোলা আমার পিছে–
উঁকি দিয়ে দেখছি দুজন, হচ্ছে কি সব নীচে।
নেতার দল ঠেলছে দরজা ঢুকতে ঘরের ভেতর,
দেখেই ভোলা দিল ঝাঁপ নেতার গায়ের উপর।
নেতার টুঁটি ধরল ভোলা কামড়ে সজোরে,
বাঁচতে নেতা করল গুলি ভোলার উপরে।
ভাগলো সবাই ভয়ের চোটে, রইল পড়ে ভোলা,
রক্তে ভাসল ভোলার শরীর,চোখ দুটো তার খোলা।
আমায় দেখে দু‘ ফোঁটা জল পড়ল দু‘ চোখ বেয়ে,
আমায় ঋণী করল ভোলা নিজের জীবন দিয়ে।
                     —০০০—