সকাল বেলার পাখিরা ডাকেনা আর
শুনিনা তোমার স্বর ,
প্রতিটি দিন অপুর্ন প্রতিটি ভোর অসুন্দর ,
রাঙ্গা সকালে তোমার স্মৃতিরা মানসপটে উড়ে
তুমিহীন প্রতিদিন রাঙ্গা সুর্য দুঃসহ তাপ হয়ে পুড়ে।
সব আলো নিভে গেছে ছড়ায় না নিয়ন আভা
বোধে অবোধে চেতনে অবচেতনে
সবখানে  বাবা সবখানে বাবা আমার বাবা ,
আহা বাবা আমার প্রানের বাবা ।


প্রতিটি রাত দুর্বিসহ বিভীষিকাময়
ছেলেবেলার দৈত্য দানবেরা আসছে কিযে ভয়,
বালক চোখে তুমি আমার মহানায়ক
দৈত্যরা চলে গেছে তোমার হুংকারে
আহা কি যে আনন্দদায়ক !
বোধে অবোধে চেতনে অবচেতনে সবখানে
বাবাই বাবাই ওগো আমার বাবা,
আহা বাবা বাবা আমার প্রানের বাবা ।


পৃথিবীর সব তুমুল ঘ্রানগুলোকে মনে হয় পুত গন্ধবিহীন
উজ্জ্বল দ্যুতি মুখ টাকেও মনে হয় মলিন,
ধারালো তীব্র তরবারিটাতেও বুঝি  হারিয়ে গেছে শান
হেথা হোথা তিন প্রহরে কল্পলোকে খুঁজি বাবার গায়ের ঘ্রাণ ।
অদ্ভুত মোহ জাগানো সেই ঘ্রান  ,
তুমিবিহীন এক যুগ সবকিছু লাগে ক্ষীয়মান ।
বোধে অবোধে চেতনে অবচেতনে সবখানে
বাবাই বাবাই ওগো আমার বাবা,
আহা বাবা বাবা আমার প্রানের বাবা ।


মানিব্যাগের গোপনে পকেটে
খুব যত্নে একটি ছবি রাখতে এঁটে,
মনে পড়লেই দেখতে আমার  ছবিমুখ
আমি ছিলাম তোমার সুখ,
এই আমাকে এমন করেই ভালবাসা
সারাক্ষন সারাবেলা মেটাই মনের আশা
তোমার ছবি বুকের মাঝে শক্ত করে গাঁথা ।


বোধে অবোধে চেতনে অবচেতনে সবখানে
বাবাই বাবাই ওগো আমার বাবা ।
আহা বাবা বাবা আমার প্রানের বাবা ।


বাবা আকাশপানে তোমার টানে নিত্য
সারাক্ষন খুঁজে ফেরে  আমার চিত্ত ,
তোমার মুখ ভেবে দুচোখ বুজে থাকি
তোমার স্পর্শ পাইনা তবুও
নিজের মাঝে তোমায় আঁকি ।
বোধে অবোধে চেতনে অবচেতনে সবখানে
বাবাই বাবাই ওগো আমার বাবা ।
আহা বাবা বাবা আমার প্রানের বাবা ।


(বুকের মাঝে ও হ্রদপিন্ডের অলিন্দে সারাক্ষন যার জন্য পোড়ে, সেই বাবা মরহুম নুরুল ইসলাম কে উৎসর্গীকৃত )