পাত্রের চেয়ে সত্ত্ব বড়
তাইতো উপচে পড়ো,
বইছে এখানে সেখানে ঐ
চলমান নদীর মতই,
কাছে মাঝে সুদূর
ছুঁই ছুঁই টইটুম্বুর ।


সীমাহীন বন্ধন লুকাতে গিয়ে
আটছ অযথা কী ফন্দী,
ভিতরে উষ্ণতা বাইরেতে হিম তবু
নিজেকে করতে চাও বন্দী
হ্রদয় উজাড় করা উত্তাল প্রেম
ভেঙ্গে দেয় নিয়মের গন্ডি ।।


লতার মত জড়িয়ে থাকে
জীবনের প্রতি বাঁকে ,
তবুও সেই ঘরেতে নাই আসা যাওয়া
কারো শূন্যতা কারোর দীর্ঘশ্বাসের পরোয়া
বাইরে নির্বাক ঘরহীন ভিতরে ঘরোয়া ।


পরস্পরে বোধের ফরমায়েস
ভাগ করে সুখ আদর আর আয়েশ,
নিয়ম রীতি মেটেনা খায়েশে
অনুভূতি বাঁধা যায়না বয়সে ।


স্থির মন হঠাৎ অস্থির উড়নচন্ডী
ভালবাসায় বন্ধুতায় নাই কোন গন্ডি
সম্পর্কের নাই ছোট বড়
উপচে পরা সব করে জড়ো,
সীমাহীন বন্ধনে ভেঙ্গে যায়
সব নিয়মের গন্ডি ।



       ২)


সে যে আমার বিষম বন্ধন


কেউ জানেনা,
তার সাথে বলিনা চলিনা
তবু সে যে থাকে
জীবন স্রোতের বাঁকে বাঁকে,
একলা পুষি বুকে
সে যে সদা সর্বদা
আমার সর্ব-সুখে ।


মায়ায় ছায়ায় ভালোলাগা গুলো
আবরণ ছড়ায় রুপোর আলো,
সোনার দিনের সেই মোহ
আজো স্পষ্ট সবটুকু  বহো ।


বোধে  নড়ে আর নাড়ে
বুকেতেই সে বাড়ে,
অনুভূত গন্ডিবিহীন স্পন্দন
সে যে আমার বিষম বন্ধন ।