পিপীলিকার পাখা গজায়
মরিবার তরে
আমার সাধ হল
যদি পাখা গজাত!
বন্ধুকে সাথে করে
যেতাম উড়ে শৈশবে ।


ছেলেবেলায় বড়দের
কড়া কড়া শাসন
চোখ দুটি বড় হলে
উঠত যে কাঁপন ।


পৃথিবীটা মনে হত
তিক্ত আর রিক্ত
বাবা মার বকুনি
মাস্টার মশাইয়ের ফোঁস ফোঁসে
হতাম সিক্ত।


এসবের মাঝেতে
সব ধাপ পেরিয়ে
তোমাকে পেলাম এড়িয়ে
আড়ি পেতে আড়ি কেটে
কপালে কপাল ঠেসে
হলাম বন্ধু পেরিয়ে যাব
আজ বিষাদসিন্ধু!


মাথা মাথা বারি খেলে
আর আরেকটা না দিলে
গজাবে যে শিং!
তুই এসে শীষ মেরে
দিলি এক ঢিং
তা তা ধিং তা তা ধিং ।


আম জাম লিচু
লটকন আর বরই
সব খেয়ে খেয়ে
বীচিটা ভুল করে
খেলে পরে ধরতে ভয়
এই বুঝি পেটের ভিতরে
বড় বড় গাছ হয় !


সকালে বিকালে ফুটবলে লাথি,
শৈশবে কৈশোরে সারাদিন মাতি।
এলেবেলে তালেগোলে
আবোল তাবোলে
আজো তাই সব খানে ,
বন্ধু বন্ধু আর বন্ধুতা এক সুতায় গাঁথি ।



(উৎসর্গ – মুসা ইব্রাহিম, তৌফিক এলাহী বুলেট, আশরাফ ইবনে সিদ্দিক রানা, আবুল কালাম আজাদ, সাজ্জাদ আলম নিপুন,এ এইচ এম মাসুম ও আবু লাইশ কোরাইশী , সাজু, রফিকুল, রুসতম ,সাইফ নিয়ন, নূর ইসলাম বাবু সহ সকলে যারা আমার শৈশব হ্রদয় ও একাত্বা আজোবধি )