তুমি প্রজাপতি হংসমালা
তুমি আত্মা তুমি স্বত্বা তুমি  প্রভু প্রেমিকা
তুমি দেবদুত তুমি রাধা তুমি সতী শ্বেতশুভ্রা  
তুমি কাংগাল তুমি পুত  তুমি পবিত্র আজলা
তুমি প্রেত তুমি নগ্ন তুমি রাক্ষসী তুমি যৌবনজালা
তুমি রুপ তুমি সৃজন তুমি ঝলক তুমি আশ্রিতা
তুমি বিমুর্ত তুমি কল্পনায় কল্পিতা,
তুমি রানী তুমি সম্রাজ্ঞী তুমি মাতা তুমি জননী জ়ায়া
তুমি সারথী তুমি পুজারী তুমি ভোগ তুমি ত্যাগ তুমি মায়া ।


তুমি রাখী তুমি মিলন তুমি প্রেমরতিকা
তুমি বোধ তুমি অবোধ তুমি মাস্তুল তুমি বর্তিকা,
নারী তুমি শক্তি তুমি প্রজ্ঞা তুমি উৎকর্ষতা
তুমি ফল্গু তুমি চাষভূমি তুমি উর্বর তুমি রুক্ষ অনুর্বর মরুতা,
তুমি পণ্য তুমি বর্ণ তুমি যবনিকা
তুমি আদিম তুমি সনাতন তুমি মাতৃকা ।


তুমি ঘৃনার তুমি নিঃগৃহের তুমি আস্ফালন তুমি আকাশ নীল
তুমি শীতল  তুমি ফানুস  তুমি উচ্ছ্বাসের ঢেউ ফেনিল
তুমি ভুমিষ্ট তুমি জরায়ু তুমি প্রসব  তুমি জোয়ার  তুমি বান
তুমি তীব্রতা তুমি পতিত তুমি ভাগার তুমি নীরব শ্মশান ।


হে নারী তুমিই পুরুষ তুমি দানব তুমি দানবী
তুমিই মানব   তুমি মানবী
তুমি বিভেদ তুমি তান্ত্রিক তুমি নারীবাদ
তুমি যোজন তুমি বিয়োযন তুমি বিষাদ
তুমিই পুরুষতান্ত্রিকতা তুমি সামাজিক   তুমি বিভাযন
তুমি লিংজ্ঞ তুমি লিংজ্ঞান্তর  তুমি শাসন ।


তবুও তোমায় এতভাগে ভাগ দ্বান্দ্বিক পৌরুষ
তবে হোক হোক নারী ভাঙ্গ খোলস
এতো আমি তোমার পুরুষ সেজে সাজাই সব
তবুও কেন দ্বীপ জ্বলে নিভে যায় বহ্নিশিখা থেমে যায় কলরব ,
তোমার আমার একই হাতে লেখা সত্য  স্বতঃসিদ্ধ
শুধুই কি নিভিয়ে দিব নাকি প্রজ্বলন হবে মানব শিখা নিত্য ।