নীড়ে ডিম বাহারে
পাখি দুটি আহারে
যতনে আদরে রঙিন
মা পাখির ডিম ,
পাখি দুটি আছে
বনের জাম গাছে ।


হঠাৎ  এলো হাতি
শুর দিয়ে গাথি
পাতা আর ছালে
নীড়ের সেই ডালে ।


মহারাজ হাতির রব
কেঁপে উঠে সব
বাঁচান আমাদের চামড়া
বাঁচতে চাই  আমরা ।
ডিম আর ঘর
ভাঙবেন না দিবেন না ডর।


পাখিদের  কী ব্যাথা
হাতি শুনেনা কথা
ভাঙল  ডিম সব
হাতীর উৎসব !
সব হল নষ্ট
আহা পাখিদের কষ্ট।


পাতা জড়ো করে
হাতি মজা করে
পেট পুরে খায়
উদর ফুলে যায় ।


পাখিদের চিৎকার কান্না
কষ্ট, বন্ধু আরনা
বন্ধুরা  মিলে বলে
প্রতিশোধ! দলে দলে!


পিঁপড়া ব্যাঙ কাক
বলে কান্নাকাটি  থাক
উঁচু কর নাক
দাও জোরে  হাক ।


পরদিন সবে ঘুরে
সারাবন সারাক্ষণ উড়ে
সকলে উল্লাসে মাতি
খুঁজে পেল হাতি ।


পিঁপড়া উঠল কানে
ছুটল ভিতরের পানে
দিল ফুটিয়ে হুল
বিঁধল ব্যাথার শুল ।


এরপরে কাক এলো
উড়ে চোখে গেলো
ঠুকরিয়ে ঠুকরিয়ে চোখ
মেটাল সব ক্ষোভ ।


চোখ দুটো বুজল
অন্ধ হাতি খুঁজল
চোখের আলো খানি
ঠোকরে খেয়েছে মণি ।


অন্ধ হাতির যন্ত্রনা
চিৎকারে কেউ এলোনা
বিঁধল যেন দলা
শুকিয়ে গেছে গলা ,
কমে এল বল
দরকার এখন জল ,


জল খেতে পুকুরে
ব্যাঙ বলে আহারে
অন্ধ হাতি আসেরে
ব্যাঙ এসে পাশে
বড় গর্ত ফাদে
ব্যাঙ ডাকে কুয়াকুয়া
হাতির চোখে ধোঁয়া
ব্যাঙের ডাকে ভাবে
পুকুর বুঝি পাশে,
মুখে পানি ভরতে
পড়ে গেল গর্তে।


কী হলো তাতে?
হাতী কুপোকাতে!!