আইজুদ্দিনের মত রাস্তায় রাস্তায় লিখতে পারি নাই
তবে সেই কৈশোরে
যখন ভিতরে শুধু ভালবাসার দামামা তখন ,
পত্র লিখেছি কত কত উপমা – চাতক পাখি, ভ্রমর,
পুষ্প সৌরভ আর সারস শুভ্রতা,
বন্যেরা বনে আর তুমি এ বুকে
আরও কত কত বিশেষণ সীতা রাধা।


ডাকপিয়নের অনেক চিঠির মাঝে
তোমার চিঠি কেন আসে না,
আবার কখনও কখনও নিজেদের
কাউকেই বানিয়েছি ডাকপিয়ন
‘’যা এই ছোট কাগজ টা
তোমার অমুক আপুকে দিয়ে আস ‘
সে কি ভীষণ এক অনুভূতি
একবার একনজর দেখার জন্য।


বাইকে করে অকারণে ঘুরোঘুরি
মনে পরে তোমার বাসার কাজের
ছেলেটাকেও দেখলে ভাল লাগত
ভাবতাম ওকি ভাগ্যবান
তোমাকে সারাক্ষণ দেখতে পায়
আর আমি হতচ্ছাড়া অভাগার ভাগা !


তুমিযে এলাকায় থাকতে
সে এলাকায় ঢুকেই বুক ভরে শ্বাস নিতাম,
আর বলতাম এ বাতাস ছুঁয়েছে তোমার নাসারন্ধ্র
এ বাতাস ছুঁয়েছে তোমায়
এ বাতাস আমার অনুযোগ আরাধন।


কি বিশাল ব্যাপকতা আর অনুভব
শুধু তোমায় একবার এক নজর দেখতে
এখনও হেসে উঠি নিজের প্রেমিক সত্তার
এমন উড়াল দেওয়া সব পাগলামিতে,
আমিও হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেধেছিলাম লাল কাপড় ।


অথচ সেই আমিই  কাঙ্গাল হয়ে গেছি
ভাবলেশহীন বিচ্ছেদী ভালবাসা,
আমাকে ভিখারি বানিয়েছে না
ঐশ্বর্যবান করেছে বুঝতে পারিনা
শুধু বুঝি বুকের মাঝে
হঠাৎ ব্যথা শুন্যতা আর হাহাকার,
সেই অনুভবগুলো আমার ঐশ্বর্য আমার প্রাচুর্য
এমন করে না বুঝে না জেনেই
ভালবাসা আসে ভালবাসা যায়
তবুও প্রাপ্তিটুকু বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।


বিরহ বিচ্ছেদ দান করে গভীর ভালবাসা ,
ভুল গুলো ধুলোর মতই
ঝেরে দিলে মুছে দিলেই চলে যায়
আর শুদ্ধতাই আরাধনা,
শুদ্ধতাই প্রস্ফুটিত হোক
ধন্য হোক আমাদের
দয় নিংড়ানো এক মুঠো অকৃত্রিম ভালবাসা ।