মাগো মা মায়াবতী
তোমার চরণধূলি
সাত আসমান জমিন
সাত সমুদ্র খুঁজি,
পাই না কেন তবুও
এক চিমটি এক মুঠো ধুলো ।
মাগো মা তোমার একটু ছায়া
হেথা হোথা সবখানেতে সবাই আছে
অসীম শীতল পরশ ,
তবুও কেন বৃথা
পাই না কেন তোমার ছায়া
পেখম মেলো পেখম ছড়াও
একটু খানি বুকে।
তুমি মাগো নাও টেনে নাও
আমি তোমার অংশ
শরীর টা যে আমায় দিলে
আমার শরীর কেমনে দেব
তোমায় একটুখানি শোধে !
স্বর্গ নয় তার বেশি
অন্তরের অন্তর থেকেও বেশি ,
অনুভবের পরেও কি সে
এমন করেই আসে,
স্রষ্টা তুমি কোথায় পেলে
কি বিনিময়ে কি দিলে
এমন করে বুনন করে
শক্ত করেই গেঁথে দিলে
মাতৃত্ব মায়া ।
মাগো তুমি না এলে
কেমন করে ধরণীর বুকে
আসত এত আলো ফুটত এত ফুল,
তুমিই শুধু তুমিই শুধু ধরণীতে
আছো গো শুধু একটা মাত্রই স্থান
যেথায় এলে স্বর্গ-পুরী স্বর্গেতে
যায় ফিরে মাগো তোমায়
এত মায়া কেন বিধাতা দিলে ?
আমার সারা দেহমালা
আমার সারা জীবন জুড়ে
সবটুকু আলোর ছটা
আমার সারাজীবন জুড়ে
সুখগুলোও দিই ,
তবুও মাগো তোমার কাছে
শোধ হবে না এক কড়িও ঋণ
তাইতো মাগো চির-ঋণী হয়েই
শুধু এক বিন্দু তোমার চড়ন ধূলি
চাইছি মাগো আমি অধম
কি বা দিলেম তোমায়?
তুমি মাগো ঋণী করো আমায় ।
(আমার মমতাময়ী মা জননী মরহুমা রওশন আরা বেগম কে, যার চরণধূলি আমার সারা জীবনের ঐশ্বর্য)