দেখ না চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
কোনো রূপ গায়না লেপে মা-বাবার সেবা করে
সময় পেলে নকশীকাঁথা শীতলপাটি বানায় ঘরে।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবানু-
দু'ঠোঁটে পালিশ করে বাবা ডাকে না সে ঠোঁটের রং যাবে খসে!
আল'ত করে ডাকে ওদের মাম্মি-ডেডি কোথায় আছে!


দে খনা চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
খালি পায়ে যায় সে হেঁটে কলসী কাকে পুকুরঘাটে
তাঁর চলাতে পিঁপড়েটাও মরবেনা সে সরল মনে শান্ত হাটে।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবানু-
হাইহিল জুতা পায়ে বুকের ভিটার পর্দা তুলে নিতম্ব দোলায়ে চলে
দেখতে তারে হয় যে মনে নর্তকী যায় নৃত্য পুরে।


দেখনা চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
কুটির ধারে নদীর চরে শাকতুলে সে আঁচল ভরে
দীর্ঘ তাহার কালো চুলে ডেউ তুলে বাতাস খেলে।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবানু-
লেকের ধারে তার পোশাক দেখে হয় যে মনে কিনে ছিলো ছোট্ট কালে
শহরবানু বড় হলেও পোশাকটা আজও ছোট্ট কালের!


দেখনা চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
ভাত বেড়েছে মাদুর পাতি রাখছে পাশে শীতল পানি
পাখা হাতে দাড়িয়ে আছে হালছেড়ে এই আসবে কালা।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবানু-
সেজে গোজে অগ্নিশর্মা কাজ ছেড়ে আসতে বাবু হচ্ছে দেরি!
করছে তাড়া বন্ধু সখি দেখতে যাবে হিন্দী ছবি!


দেখনা চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
চায় কি কালা যাইতে মেলায়, চুলের কুপা কাচের চুড়ি
কাশমিরি শাল থাকলে টাকা চিরা-মুড়ি।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবানু-
চায় কি ফরেন যাইতে বাবু, হিরারআংটি মুক্তারমালা উন্নত মেকাপ পালিশ
না আনলে শেষ দেখবো তোমায়! মান বাছেনা বন্ধু মেলায়!


দেখনা চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
মা হবে সে শরমে দু'চোখ মুঝে কয় কালারে কানে কানে
আনিও তাবিজ পীরকে বলি, যেনো জ্বিন ভূতের না আছর পড়ে।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবানু-
মা হবে ঢুল পিটিয়ে কয় বাবুরে যাই চলো বড়োক্লিনিকে
চেক আপ করে জেনে আসি ছেলে না কি মেয়ে হবে।


দেখনা চেয়ে কালার ঐ পল্লীবালা-
কয় কালারে ছেলে হলে আব্দুল্লাহ মেয়ে হলে মরিয়াম-
কোরআন হাদিস পড়াবো শিখাবো আদব
মরার পরে সন্তান রবে ছদকায়ে জারিয়া।


এই যে দেখো বাবুর ঐ শহরবনু-
কয় বাবুরে ছেলে হলে অভি মেয়ে হলে অহনা
ছেলে হলে গান শিখাবো মেয়ে হলে নাচ
আমার আধুরা স্বপ্ন পুরাবে সন্তান!