--কি করছ এখন?
--বাংলায় M. A করছি
--ও বাবা! বাংলা? আজকাল বাংলা কেউ পড়ে নাকি? কি করবে ও পড়ে? English পড়তে পারতে.
--নাহ্, আমার বাংলা পড়তে বেশ লাগে. ইংরেজী তো আর আমাদের ভাষা নয়.
--বাবা, বাংলা ভারী কঠিন, English is comfortable for me than Bengali. যাকগে Spoken English টা করে নিও কিন্তু.


প্রয়োজন হবে না বোধ হয় আমার ওটা পড়ার. তবে এটুকু বুঝলাম যে বাঙালি আর বাঙালি নেই. তারা এখন so called বাঙালি. বিদেশি জিনিসপত্র, বিদেশি রান্না এমনকি বিদেশি ভাষাতেই তারা অনুরক্ত. মাছের কালিয়া, মোচার ঘন্টের থেকে বোধহয় পিৎজাটাই বেশী সুস্বাদু., শাড়ি, চুড়িদার, ধুতি বড্ড সেকেলে, তার চেয়ে জিন্স, গাউন, আরও খোলামেলা পোশাকে বেশি কমফরটেবল, ফ্যাশনেবল এখনকার '' বাঙালি ''.


আমি বোধ করি এই বাঙালিয়ানাটিকে ছাড়তে পারলুম না. বাংলার গল্প, কবিতা আজও আমায় বড্ড আকর্ষণ করিয়া থাকে. বইমেলায় প্রবেশ করিয়াই বই পোকা বাঙালি হইয়া পড়ি, বাড়িতে মা-এর রান্নায় আমি ভেতো বাঙালি হই, আর উৎসবের দিনে এমনকি কোনো শুভ কাজে যাইবার সময়েও শাড়ির বেশে বঙ্গনারী হইয়া উঠি. এখন যেমন হঠাৎই সাধুভাষায় লিখতে শুরু করিয়া প্রাচীন বাঙালি হইয়া পড়িলুম. তবে জানি না হয়তো এনাদের সকলের মাঝে থাকিয়া আমিও একদিন বাঙালি হইতে so called বাঙালিতে পরিণত হইলেও হইতে পারি.