গুড়- গুড়- গুড়, ঠাস- ঠাস-ঠাস,
মধ্যে মাঝে লাল বাঁশিটা করছে মৃদু ত্রাশ;
মাঠ পেরিয়ে ধু ধু চলছে সারি শুধু,
আস্তে করে থমকে দাড়ায় জনকয়েক হাত বাড়ায়;


হাকাডাক আর নামার ভিড়ে এক মুহূর্ত নেয় জিড়িয়ে,
সাদা ঘন আধার চিড়ে ফিরিয়ে দেয় আপন নীড়ে;
কত স্বপ্ন আর আশা, কেরানি হতে চাষা,
ক্ষণিকের এই শৃঙ্খলে বন্দি যেন সকলে।


বসে কিংবা দাড়িয়ে,  কেউবা যাচ্ছে পা মাড়িয়ে।
জনকতক ছুটে চলে, আসন ধরে নানান ছলে।
ঘুমের ঘোরে কেউবা আবার স্বপ্ন দেখে পৌছে যাবার।
টি টি মিঞার হঠাৎ ডাকে, ঘুম ভেঙে যায় ভীষণ রাগে।


টানছে কে বা অন্য হাত, অর্থ লাগে খাবে ভাত।
হরেক রকম কায়দা করে, কেউবা নিচ্ছে অর্থ পরে।
হকার আনছে রকমারি; বই -খেলনা- খাবার ভারী;
চলার পথে চলছে সবই, চলছে ছুটে এক পৃথিবী।


আমার আবার অন্য খিদে, ঘুম আসে না ছড়ার জিদে।
বসে আছি চুপটি করে, চাঁদ ডেকে যায় রাতের ঘোরে।
জানলাগুলো বন্ধ সব, শীত এসেছে করছে রব
একলা শুধু বগিগুলো, শীতের মাঝেও খাচ্ছে ধুলো।
কতশত কোলাহলে, ছুটছে সারি শৃঙ্খলে,
এই সময় কাটছে আমার, পেটের মাঝে ট্রেন মামার;