বাটের এই আঁকাবাঁকা পথচিহ্ন কার চরণে এঁকেছে দূরের নকশা
অগণন বছর আগে কে তুমি হেঁটেছিলে এই পথ ধরে
অগোচর পদচিহ্ন বয়সের ভারে লুকিয়ে যায় মাটির আড়ালে মাটিতে
প্রাচীনেরে উদরে লুকিয়ে করে খেলা,
এসো নবীন, এঁকেদাও পদচিহ্ন,
কিছুকাল তোমার দায়ে ঋণী হই পৃথিবীর নিয়মের তরে
তারপর একপশলা বৃষ্টি এসে মুছে দিবে সব কারুকাজ।
সন্ধ্যা নামে বাটের সম্মুখে ছায়াঘেরা গাছের আড়ালে
চুমো আঁকে রবিরশ্মি মেঘের ডানায়
আঁধার এসে ভরে যায় মাঠঘাট
প্রবীণ মানবদেহ লন্ঠন জ্বেলে হয়তো পার হবে প্রাচীন বাঁকা পথ
এঁকে দিবে শেষ পদচিহ্ন
তারপর হারিয়ে যাবে অজানার দেশে
চুকে যাবে সব লেনদেন
কিছু ধুলা ফেলে যাওয়া রুমালের গায়ে বাঁধবে বাস
কালেকালে কুড়ে খাবে পদচিহ্ন
লন্ঠন পড়ে রবে আলোকময়।
পৃথিবীর এই পথে হেঁটেছি অজস্রবার
রোজরোজ রেখে যাই চিহ্ন
কিশোর বেলার সেই ছাপ খানি- খুঁজি যেতে যেতে,
যেথায় পড়েছিল পা মাঠ বন আর সবুজ ধানের ক্ষেতে
আকাশে হানি মুখ, কখন আসবে দূত উড়ে উড়ে অতিথি
যেতে হবে পারাবার না করে আর বার
বিদায় প্রিয় গ্রাম, বিদায় পৃথিবী!