অশ্রু শূন্য চোখ,
তমালিনী!
থির হয়ে দেখছিল নদীর জল,
স্বাধীন জলরাশি,
বলাকা।


মায়ের ছেড়ে যাওয়া খিড়কি পথে- বাঁধা পড়ে চল্লিশ বছর,
সতেরোর যৌবন কবে ভাইয়ের কচিমুখে হারিয়ে গেছে ঠাহর হয়নি।
বৃদ্ধ বাবার লুঙ্গি ধুতে ঘাটের জলে ভেসে গেছে সখ-আহ্লাদ!
বাবা শয্যাগত,
অশ্রুসিক্ত চোখে মেয়ের হাত ধরে কাঁদছিল বাবা,
আমি তোকে কিছুই দিতে পারছি না মা,
হিঁদুর ঘরের অভাগী!
পরজন্মে পিতা হয়ে আসিস, আমি কন্যা হয়ে শোধ করব দায়।