ক্লান্ত রোদ্দুর এখন সুরঙ্গ নীড়ে শুয়ে পড়েছে
বাতাসে গোধূলি উড়ে লাল রোদের শেষসীমায়
তেজস্বী তনুদেহ যৌবন খুইয়ে এখন ক্লান্ত প্রাণ
উদগ্র দিগন্ত মেঘ হো হো হাসে-
বুড়াটা খেল হারিয়েছে!
রেজিস্ট্রি করা অজস্র ভূমি নিজের নামে বেনামি হয়
কাঠবিড়ালি দাপট দেখিয়ে পেয়ারা খেয়ে যায়- সদরদরজার মুক্ত পাতায়
লাঠিতে ভর করে দাঁড়াতে চায় সায়হ্নের ভগ্ন দেহ!
মেরুদণ্ড বিগ্রে যায় শরীরের ভারে
গাছ হতে অক্সিজেন লও
পেয়ারা হোক পোকার আহার!


ফসলি জমি সোনায় ছেয়েছে শির
উইপোকা কবলা দলিলে সই করে রোজ রোজ
তরিক আলির নাম মুছে দেয় কীটপতঙ্গ,
ওরা পাখা ওয়ালা দখলিস্বত্ব ধনকুবের।
একদল জমিদার ছুটে যায় এপাশ ওপাশ
চেঁচিয়ে ওঠে প্রবীণ- এ আমার সম্পদ
উইপোকারা হেসে ওঠে হো হো
বিদায় বন্ধু বিদায়
কবর হোক বাস!


চোখ জুড়ানো ফসল গুলি অট্টহাসে
মেপে মেপে আহার গিলো তিলেতিলে
তনুদেহের জৌলুশ দেখে জিব নাড়ে মাটির কীট
লোলুপ চাহনি দিন গুণে বিচ্ছু সকল
সজ্জায় এসো মৃত্তিকাগর্ভ ক্ষুধার্ত বিছানায়
ছিঁড়েখুঁড়ে ভোজন হোক মনুষ্য দেহ
চলে এসো পোড়।