সহস্র বছর পরে বাংলার এই মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাওয়া বালিকারে বলি
দূরের কাঠাল তলে জীর্ণ কুঁড়েঘরে মায়ের দিন গুলি শুনাও ওহে!
কলমির বেড়ায় ফসলের উঠানে হানা দেয়া ছাগবৎস তাড়ানো হলে শেষে
কাঁখে ঝাঁপি চেপে শিরীষ তলায় মা যায় তুলতে পাতা
ঝাঁট দেয়া হলে শেষে আঁজল ভরে জমা করে উনুনের কোণে
ডোবায় খেঁজুর ঘাটে শেওলা তাড়িয়ে মা ভরে ঘটে জল
ক্ষুধার্ত কাক কা কা ডেকে যায় দাওয়ায় এসে ডালিমের শাখে
প্রশস্ত নদীর দূর দিগন্তে তখনো বলাকা উড়ে যায় আপন খেয়ালে
সীমার সকল শুভ্রতা পার হয়ে হারিয়ে যায় আকাশে মিশে অনেকদূরে।
জলে ভাসা কলমির শাখা আনমনা আমারে চেয়ে থাকে অবিরাম
ভ্রমর এসে চুমে যায় পুষ্পরস
শতদলে ঢেউ হানে পাতিহাঁসের একঝাক নবীন ছানা,
দিনশেষে ফিরে যায় ঘরে রঙিন মেঘের তল দিয়ে কচি বোল ছেড়ে।
কচি ধানের চারায় চিহ্ন পড়ে রয় আগামির তরে
তখনো নরম ঘাসে মুখ লুকায় পৃথিবীর অবশিষ্ট কীট সমূহ
অথবা কীটনাশকের শক্ত থাবায় বিলীন হয়ে যায় পৃথিবীর এই মাঠ-ঘাট হতে অন্য কোন গ্রহে।
সহস্র বছর পরে পৃথিবীর পথে হেঁটে যাই গাঁয়ের খোঁজে
বেলা গড়িয়ে যায়- ডাকেনা পাখি
সন্ধ্যা নামে, গোধূলি জড়সড় পড়ে থাকে ভীতু নয়নে
রাতের কীট গুলি মরে পড়ে থাকে ভিনগ্রহের পথধরে!