এই মর্মরিত চৈতালি দুপুর
সিঁড়িপথের শিখরে রেখে পা
আমি মর্মর পাথরে চেয়ে থাকি আনমনা,
কুন্তলে হেসে থাকে দিন
আলোয় লীন।
একদিন ঝর্ণাধারা জল পড়ার শব্দে ঘুমোতে দেয়নি আমায়
সারারাত ঝরঝর, সারাদিন।
আমি বুড়িয়ে যাওয়া ঝর্ণা মর্মে যৌবন খুঁজে বেড়াই
কুন্তলে ফোঁটা ফোঁটা জল
ঝরা শিশিরে স্নাত তাজা সবুজপত্র
কিশোরীলাল, চঞ্চল।


আমি এখন বদলে দিচ্ছি ভাঁজ পড়া অবয়ব
ম্লান আঁখি সাদাকালো কারুকাজ
দীর্ঘ পথে নদীর সাথে মিশে থাকা রুপালি জলসীমা
প্লাবিত রাতের আলো
তারার মেলা,
আমি ফিরিয়ে দেবো চঞ্চলা চরণ ফেলা গেঁয়ো মেঠো পথ
মেঘের তলে হেসে থাকা একসারি সাদা ফুল
করপুটে ধরে রেখো পুষ্পের ভার
চরণ ফেলো, ফিরে চলো।