নিঃশ্বাস নেওয়া হয় কুয়াকাটার দীর্ঘ চরে
যেখানে হারিয়ে যায় দৃষ্টির দূরত্ব।
নিজেকে খুঁজতে থাকি সেন্টমার্টিনের স্বচ্ছ জলে
যার কাচ বালিতে চকচক করে বাংলাদেশের চোখ।
হারিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গোপসাগরের নিদ্রিত বুকে
আবার জেগে উঠি সূর্য সঙ্গমে, নিত্য কোলাহলে।
স্থির হয় কবির বুক পাহাড় ও সাগরের মিলন ভূমিতে
যেখানে প্রাণের সুধা ঝরে যায় সুপ্তধারায়, সহস্রধারায়।
স্বাধীন চেতনার এই মন ছুটতে থাকে নিঝুম দ্বীপের বলাকায়;
কখনও বা মনপুরা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এর মতই ছোট ছোট দ্বীপ কুণ্ডলে।
প্রকৃতির সাথে মিশে যায় পতাকার হরিত রং--
লাল বৃত্তের চেতনায় জেগে থাকে শুধুই প্রেম,
এই প্রেম উজ্জীবিত হয় অনন্তকাল বয়ে যাওয়া ঝর্নার জল-ছন্দে।
কখনও বা নিজেকে খুঁজতে হয় সোনারগাঁও-এ শতবর্ষ বন্ধ থাকা রহস্য কক্ষে।
এখানে মন এতই চঞ্চল কখনও বান্দরবন তো কখনও দিনাজপুরের রাজবাটী।
আবার এই মন মেঘ ছুঁতে চায় সাজেকের মেঘালয়ে।
এখানে বেঁচে থাকার ভয় নেই
বুক চেতিয়ে আছে চিরতরুণ ম্যানগ্রোভ।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনার বহমানতায় শীতল হয়ে ওঠে হৃদয়,
কখনও বা শান্তির খোঁজে শান্তিনিকেতন ছোটা।
জীবনের সংজ্ঞা যেন অটল, নির্ভীক ষাটগম্বুজের দেওয়াল;
সৌন্দর্যের সাক্ষী দেয় দোয়েল, শ্যামাসহ ভিনদেশী অতিথি পাখির কন্ঠ।
এই নারীর মিষ্টতা পাকা আম, কাঁঠাল, লিচুতে মেশানো।
এই মাটিতে মেশানো রয়েছে লাখো শহীদের রক্তজল,
যার কুমোর শুধুই স্বাধীন চেতনার পাখা গড়ে।
এখানে মানুষের স্বাধীনতার বোধ মানেই বঙ্গবন্ধু,
এখানে কবির মনের দূরত্ব টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।