মানুষ বাঁচে কিসে ?
দোকানে ক্রেতার ভিড়-সংকটে চাল,ডাল
ধোঁয়ার নরকে পুড়ছে বিষাদী মানুষ
ক্লান্ত কলমে কথার ঝাঁঝ-
দেখো, না খেয়ে মরছে শব্দ চাষী।
মানুষ বাঁচে কিসে ?
বাবার হাতে ধারালো লাঙল ফালি-
আমার হাতে হাজার পৃষ্ঠার বই
পোকায় না খেলে ধান,
বাবার হাত হবে ভারী।
মাথায় না ঢুকলে অংক,
আমার, খসেবে দামী হাতঘড়ি।
মানুষ বাঁচে কিসে?
রিক্সার প্যাডেলে জং আর জানের বিক্ষোভ
মজদুর পা নাড়ালে প্যাডেল চলে-
বিছানায় পড়লেই ডুব সাঁতার-
থাকেনা বাহাদুরী- কোথায় সংসার?
ওষুধের দোকানে পায়েচারী।
মানুষ বাঁচে কিসে?
চায়ের দোকানে দুধ-চিনির প্রেম
জমানো ভিড়ে পকেটে নিঃশেষ-
খুচরো পয়সার খোঁজ,
দু'টাকা কম পড়ে গেলে-
পানির ঢোকে ক্ষুধার্থ পেট।
ঘরে ফিরে দেখি খালি পাতিলের তলা !
অনিদ্রার স্বাক্ষী;
জড়ো হওয়া বিছার চাদর।
মানুষ বাঁচে কিসে ?
বাড়ি হলে,চিন্তার ভাঁজে গাড়ি
শয্যার মকমলে শরীর বুড়ো হলে -
বেলাশেষে,পোশাক পান্টায় কর্মচারী।
তবে,কারা যেনো অমানুষ হয়ে পড়ে
ওঘরে কাতরানো মানুষ বোঝেনা !
মানুষ বাঁচে কিসে?
অনুরক্ত বোবা হলে প্রণয় মৃত।
বদনামে ছুঁচালো ক্যাকলটাস ছোঁড়ে বুকে
স্বচ্ছ কাঁচের দেয়ালে জমে মেঘ-
হ্নদয় পোড়ে এসিড বৃষ্টিতে।
অথচ,সবুজের বনে বেঁচে আছে শেষ বৃক্ষ।
মানুষ বাঁচে কিসে?
যা চাই তা পেয়ে গেলে?
নাকি,যা চাইনি তা পেলে ?
যা পেয়ে গেছি তার উল্লাসে?
নাকি,পাওয়া না পাওয়ার মাঝামাঝি দ্বন্দে?
মানুষ যথার্থ বাঁচে কিসে?