একটা মানুষ ভেতর থেকে ভাঙ্গা আয়না
নিজের ইচ্ছে অথবা বুঝতে পারা,
সবটাই অপ্রকাশ্য ।
খুপরি একটা খেলাঘরে
কাঠ পুতলি মতো -
শিশুর হাতে রোজ আদুরে ঘুম ,
খেয়ালি আদর ;
রাতের ঘুমহীন ডিমলাইট সহোদর  ।


যন্ত্রনার হলফনামায় সাক্ষীর অনুপস্থিতি
বিশ্বাস অর্জনের,  
আরও একটা জঠিল ফাঁদ।
গলা চেপেধরা আত্মার
আহাজারি সমেত জুঁই ফুল-
বিষ-কাঁটালের ভেতর
জরাজির্ণ  ঝাঁঝরা হৃদয় ।


বুক চিঁড়ে কি দেখানোর কথা ছিলো –
কতটুকু জমা ছিলো ভালোবাসা,
বিশ্বাস কিংবা অভিলাষ ।
তবুও প্রশ্নের বিষ মাখানো খঞ্জর
কলিজায় গিয়ে ঠ্যাকে ;
মেনে নিতে হয়
প্রেমহীনতার হাজার খানেক অপবাদ ।


জীবন যার সরকারী মাল ,
তা লুটেপুটে খেলেই শান্তি ।
মূল্যহীনভাবে উপভোগ্য –
নামহীন উপকরণ মাত্র ।


যা বুঝে উঠেছো- তাতে ,
বিন্দুমাত্র দ্বিমত করিনা ।
মেনে নেয়াই শান্তির
শ্রদ্ধারও বটে ।


শুধু ঠকে গেছি দৈব-দশার কাছে ,
ঠকে গিয়েছি জীবনের কাছে –
নিজের জন্যে দুঃখ রেখে
শুভ সকাল বলার অভ্যেস –
লিখে নিয়েছি নিজের নামে ।


ভালো থাকতে চাওয়াটা
অপরাধ বটে ।
তোমার -
দখলে না থাকার অক্ষেপ
যদি দীর্ঘশ্বাস হয় ।