নিজেকে তোর জন্যে উৎসর্গ করি–
পড়ছে ভীষণ মনে।

২২৫২
বাড়ি যাবিনা, বিবর্ণ দেখলাম তোকে
লাগবেনা তোর কুড়ি হাজারের শাড়ি।

দাঁড়িয়ে দেখছি গ্রীল ধরে–
আমি কাঁদলাম, নোট করা শেষ হলে।

তোর-আমার বাসর হলো!
রচক হলো দেখা, রঙ্গিণীও হলো
চোখবুঝে তাই স্বপ্ন হলো লেখা।

শূণ্যে ভেসে, ডুবলো রণতরী
তোর আলোয় মিশে গেলো
তোদের হলুদ বাড়ি
তোকে পড়ছে ভীষণ মনে।

ক'জন স্বপ্নে তোকে দেখে?
যার বিষে তুই মারিস আমায়
সে কি খবর রাখে?
চার'শ টাকার তোষক জুড়ে
তবুও তুই বেজায় ঘুমে,
আমার বুকেই থাকিস।

২২৫২
তোকে মন্দ আলোয় ছন্দে দেখা হলো
খুব ভেজা তোর করুণ স্মৃতির আঁখি,
রন্ধ্রে এলি,কাঁদিয়ে গেলি,
তুই হলি ফের, খাঁচায় পোষা পখি।

নিজের চোখে নিজের কবর দেখি
ঢাল তলোয়ার আমারই সব
যুদ্ধো হলো,আমিই হলাম যুদ্ধবন্দি লাশ।

২২৫২
আমি তোকে নোট করলাম বুক পকেটের ভাঁজে,
অবশেষে রেখেই দিলাম রক্তপদ্ম সাজে।


তারিখ: ০৯-০২-২০২৫ ইং
আজীমপুর, ঢাকা।