তারাই বেঁচে আছে এই পৃথিবীর জালে গ্রহের ফেরে
যারা
আকাশ মেঘের হঠাত বজ্রপাত মাথায় নিয়ে ফেরে।
যারা
সূর্যের আগুন
ঝড় বৃষ্টির সংঘাত
নদীর ছলছল বহতা পানির কল্লোলিনী, সুদুর চাঁদের পল্লোবিনী  
জীবনের সঙ্গে গুছিয়ে একাকার প্রতিদিনের ধারাপাত।
যারা
নিজের পায়ে খুঁজে নিতে পারে বনানী রোদ্দুর, ছায়ার শীতল কমনিয়া
দুচোখে দিন রাত্রির লহমা;     অন্ধকারের কোনায় কোনায় সহনীয়া
প্রহর সজাগ সম্পর্কের উড়ালে।


তারাই  বেঁচে আছে
যারা
অক্লান্ত শ্রমের ঘামের ভেতর ফুটিয়ে নিতে পারে  
দু মুঠো ভাত , জিরিয়ে খিদের জ্বালা খুব অনায়েসে।
ঈশ্বরের উর্ধে প্রেম ভালোবাসার চলাচলের পাড়ে  
মানুষের শিরদাঁড়ার প্রচ্ছদ কাবিল করার প্রয়াসে।


তারাই  বেঁচে আছে
যারা
পায়ে পায়ে চলে যায় কাজের ভেতর কাজ নিয়ে
কাজিয়ার ফেনা    সম্পর্কের দেনা   সব মিটিয়ে
যারা
শুকনো মাটির রোমে রোমে ভরে যায় ভালবাসার ফসল।
বনবাসের ভেতর ভেতর হাতে হাতে একতার কোলাহল।


তারাই  বেঁচে আছে
যারা
অন্ধকারের অবাধ জলধি সাঁতরে আনতে পারে  
আলোর বৃষ্টি কুচি নিঃসঙ্গ প্রান্তরে
মানুষের কাছে মানুষ ধারাময় সময়ের অস্তপারে।


তারাই  বেঁচে আছে  
যারা  
বার্ধক্য ধুলোর শেষ গোধুলির দোলায়  
কষ্ট কে আগলে বুকের কাছে।
অভয়ে দুহাতে সংসার টানে  আগামী প্রজন্মের ঘ্রাণে  
আরাম জাগায় প্রতিদিনের কাজে ।


তারাই  বেঁচে আছে  
যারা  
কোনো আকাশী ধর্মগ্রন্থ,মন্ত্রতন্ত্র ,মানবী জাতপাতের দাঙ্গা
বিষ দিলেও উগলে,
প্রকৃতির জল মাটির ভেতর খুঁজে নিতে পারে ভুবনডাঙা
দেবতার মুখ থেঁতলে।


তারাই  বেঁচে আছে  
যারা  
এখনো হাঁটছে,পড়ছে, অস্হিরতায় প্রতিক্ষণ
সামলে হোচট খুঁজে নিচ্ছে রোজকার দিনযাপন।
তারাই  বেঁচে আছে
যারা
মানুষের ভ্রুণে মানুষ খোঁজে বিলক্ষণ।


বিকাশ দাস
মুম্বাই
১২/১২/২০১৫