এই সবে মাত্র যে তোমাকে আচমকা ধাক্কা মেরে
সোজা চলে গেলো চোখে লক্ষ্য রেখে তেড়েমেড়ে
যাক সে চলে যাক,
তাকে পাজী অমানুষ পশুবত বলো না।


তুমি না দাঁড়িয়ে তোমাকেও চলতে হবে জাঁকিয়ে,
তোমারি পায়ের জোরে    তোমারি মনের জোরে
যেখানে তোমার সব লক্ষ্য সিতারা আছে ঝাঁকিয়ে।


অবদ্য সত্য জেনে...
কেউ পথ ছেড়ে দেবে, কেউ ধরে রাখবে, কেউ বা অযথা আটকে
আরো কিছু মানুষের ঢল জোয়ারের মত ছুটে আসবে তোমার দিকে
তোমার পিছন পিছন উড়িয়ে মধুচাক।
কিন্তু
তোমাকে তোমার জায়গা নিতে হবে,
মাথার ভেতর সততার গতর খাটিয়ে
দয়ার ভিক্ষায় দুর্বলতার দীক্ষায় তবে
তোমার হাতের মুঠোর ভেতর ফাটিয়ে ।
                          উবলানোর ভীড়ের তেজ লহর  ঠেলে
                          কঠিন প্রশ্নের সহজবোধ  জবাব মেলে।


আজও ধরাতলের অন্তরালের গহ্বরে ;  
কারোর নজর পড়ে না কারোর নজরে
          কে বন্ধু  কে সখা কে মাকাল
          কে প্রেম  ভালবাসার কাঙাল  
          কে স্বার্থের অন্ধ দালাল
কোন মানুষ আড়ালে আড়ালে  নিজের স্বার্থে নিজের পথ হাসিলে
বানিয়ে চোখেমুখে হাঁসি জোড়ালো নাটকীয় কায়দায় ছলের কিলে।
যদিও মানুষের কাছে মানুষের দুঃখ কষ্ট কান্না সব নষ্ট কাহিল।
                                    আজ চলাচল এক পথের সাথে
                                    আর এক পথের তর্কের ঘাতে।
সবাই শেষ সম্বল টুকুর তলাশের সুযোগ সন্ধানি
রক্ত সম্পর্ক রক্তের ঘ্রাণে সমভাগের  টানাটানি।
কেউ পিছলে পায়    কেউ কচলে পায়
কেউ কাউকে ফেলে আধা থাবলে পায়  
কেউ পড়ে উঠে, পড়ে আবার উঠে যায়;
                        অন্ধকারে সততার আলোর পাপড়ি মেলে
                        দুহাত মাখা তর্কের তকমার ঝাঁজরি ফেলে।
      
    যে তোমাকে সরিয়ে দিলো আজ   ধাক্কা মেরে
    তাকে পাজী অমানুষ আর বলো না তেড়েমেড়ে।


বিকাশ দাস
মুম্বাই
২৭/১২/২০১৫