বয়স বাড়লে
বয়স সইতে পারে না
আর দুঃখ ব্যথার কষ্ট জ্বালা  
বেশি ভিড় বেশি আলো বেশি অন্ধকার  
সম্পর্কের সম্প্রীতি ঢিলে ঢালা ।
বয়স বাড়লে
দুচোখ দেখে কম
দুকান শোনে কম
দু পা   হাঁটে কম
আরো কাছে থাকার প্রবণতায়
ঘরের কাঠামো আগলে স্মৃতির পাড়ায় ।

বয়স বাড়লে
হতে হয়
বাবা মাকে ছেলে মেয়ের মতো
না হলে কাটাকাটি বা ভাগ বাটাবাটি
শর্ত তর্ক কাজিয়া নিয়ে আলদা সরে থাকতে হয় ।  
বয়স বাড়লে
পুরনো চিঠি খুঁজে খুঁজে
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে  পড়া
গায়ের লোমে স্মৃতির শিহরণ
দুচোখের কোলে ধরা ।

বয়স বাড়লে
দিন দিন ঘরের ভেতর ঘর ছোট হয়ে আসে
আপনজনের মুখ দুচোখে বেশি করে ভাসে ।
বয়সের অধিকার কাল যেটা আজ না পেলে
একলার ঘাড়ে লড়াই করে যেতে হবে
না হলে মুখবুজে নিজের শয্যা নিজের হাতে
ওপারের ত্বরায় নিয়ে চলে যেতে হবে ।  

বয়স বাড়লে
বেশি করে নজর রাখতে হয়
বেশি করে কদর রাখতে হয়
বয়সের শীতে কুঁকড়ে বয়সকে আরো ঢাকতে বুকের ভেতর অসুখ নিয়ে ঘর বাড়ির বারান্দায় ।

বয়স বাড়লে
খুব কাছের জনকে বুকে
খুঁজে নিতে হয়
আঁধার ভিড়ে হাত শুঁকে
বুঝে নিতে হয় ।

নারী পুরষের হাত
পুরুষ নারীর হাত
গল্প স্মৃতির
অষ্ট প্রহর ছায়ার মতো হৃদয় ভরা আশ্রয় ।
  
যদিও  
বয়স একদিন
পরের মতো নিজের ঘরে সিঁড়ির বারান্দায়
হাতড়ে বেড়ায়  নিম দৃষ্টির অন্তরায়  
স্তদ্ধ প্রহর ।

বিকাশ দাস
মুম্বাই
১৫/১০/১৬