যতই আড়াল করো আমি পড়তে পারি
তোমার নীরবতার সব ইশারা
সব না বলা কথা সব অনুচ্চারণ
একটা দমকা ঝড় খড়কুটো শুকনো পাতা নিয়ে হারায় অজানা ঠিকানায়
আমি উড়ে যায় তুলোর মতন চোখের পলকে এলোমেলো হয়ে যায় সব
তবুও
কারা যেন আদিম অন্ধকারে রাত পাহারা দেয়
বন্ধ হওয়া ঘড়ির মতন
অসংখ্য বাস্তবের মুখোমুখি সক্কলে
একই স্টেশনে নামে দেখে ঘুণধরা চাঁদের শরীর
আমি সমূহ দূরে প্রলাপে সংলাপে নিদারুণ সংকটে তাকিয়ে থাকি মনের গভীরে মুখোমুখি
প্রাচীন পৃথিবীর শিবিরের খুব কাছে
যেখানে সাপের পাশে বেজি শুয়ে আছে
এই দৃশ্য অপ্রত্যাশিত ধ্বংস আর মায়া জড়িয়ে দিনযাপনের সব ভেসে যায়
অসুখের কবিতায় ক্ষতের বাসনা নিয়ে ভেসে ওঠে টেরাকোটার হ্রেসা
শোনা যায় টের না পাওয়া খুরের শব্দ
এত বিষ এত ভয়ঙ্কর প্ররোচনা কোথায় বাসা বাঁধে শরীরে!
দেখা যায় রাত নামার আগেই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে মৃত্যুভয় বারবার
হে চণ্ডাশোক তুমি আমাকে আপন করো মস্তকহীন কনিষ্কের মতন নিজের ছায়া ভুলতে চাই
হে মহামতি চোখের চেয়ে আরো বড় দেখা দেখে
হাটতে চাই
মানুষ ভালো না বেসে তোমরা ইচ্ছে হাতে তুলে নাও
ভাল্লাগেনা তোমাদের জন্য অপেক্ষা---
ঐ দ্যাখো অদূরে বুড়ো মানুষটা
গ্রামের নদীটার মতন
শ্রাবণ ভেঙেছে যার থম্ কে যাওয়া স্রোত
আমার ব্যর্থতার গায়ে বসেছে জোনাকি
আমি---- আমার অবধি নেই আর ।