সূর্যমুখী ফুলের মতো নিজেকে প্রস্তুত রেখে
তাক করে থাকা মুখ উষ্ণতা বুঝে ঘুরিয়ে নাও
কখনও চম্পা কখনও জুঁই কখনও শাপলার বেশে
দরিদ্রের দিন পার করো।
ভালবেসে সমুদ্র থেকে জল ওঠাও আকাশে।
পাঁজরের ঘাম গোড়ালীতে পৌঁছয় ভারী বাতাস
জেগে ওঠে জানলার কাছে পুরোনো কথারা কাঠবিড়ালির বেশে ফিরে ফিরে এসে।
আমি পৌঁছই কুণ্ডলী পাকানো প্রশ্নচিহ্নের ঘরে---
মসজিদে আজান শোনা যায়
ভাসা মেঘে বৃষ্টি নামে
পুকুরে খই ফোটার শব্দ ওঠে।
কাল মার্কস,লেনিন, হিটলারও প্রসঙ্গে আসে ;
টাকায় গান্ধী চিনে শ্যামবাজারে ওঠে নেতাজির কথা।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বুকে জড়িয়ে
বৈশাখ -জ্যৈষ্ঠে আসা আর শ্রাবণ-ভাদ্রে যাওয়া
মনে রেখে গুটি কয়েক ভক্ত
পথে পথে রোদ-বৃষ্টিতে আসে আর যায়---
হঠাৎ একটা প্রকাণ্ড ঝড় পাকস্থলী ঘুরে
ফিরে আসে মুখে কথার ভেতর
কথা নীরব হয়ে ফেরে ; মেঘের আড়ালে
সন্ধ্যে হয় অনেক বিকেলে---
শরীর বেয়ে বৃষ্টি নামে পা ধুয়ে দেয় গাছের
হাত দিয়ে ঢাকা মাথা
বৃষ্টি মাথায় সহস্র মানুষ
একা একা।