পোড়ামাটির উঠোন জুড়ে আসে জীর্ণ স্মৃতির শুকনো পাতা।
অতন্দ্র বূভূক্ষ হৃদয়ে বীভৎস উষ্ণতার ছোঁয়া এসে দোল খায়,
ঘুমন্ত জোনাকির দেহ ঢেকে গেছে গাড় কুয়াশার চাদরে।


অনুভূতিগুলো ঘুমিয়ে গেছে শান্ত হয়ে অধীর অপেক্ষা করে,
প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস–দীর্ঘশ্বাস একাকার হয়েছে শূন্যতায়।
স্নিগ্ধ প্রভাতের পথে চলতে গিয়ে পূর্ণ হয়েছে হৃদয় রিক্তের বিষাদে,
কৃষ্ণকাশের নির্বাণ ধ্রুব তাঁরা দেখা যায় তবু ছোঁয়া যায় না।


মৃত নদীর বুকে অদৃশ্য ঢেউয়ের গর্জন শুনতে পায় না কেউ,
শুধু অবহেলায় ফোটা কাশফুল ছুয়ে যায় সবাই তীব্র আগ্রহে।
ক্লান্ত তীর্থ যাত্রী বেশে দুঃখ হাটে- 
সমাগত প্রার্থনার প্রহরে।