আমাকে দেখে ওদের একজনের
স্পষ্ট ঔত্সুক্য জিজ্ঞাসন।
বিনীত ভঙ্গিতে নয়-
অনেকটা নিদারুন কর্কশ কন্ঠে। আমি
কোনো এক পূর্নিমা রজনীতে
চন্দ্রপৃষ্ঠে,
কোনো এক মৌলানার প্রতিচ্ছবি অবলোকন করেছি কিনা?
সেদিন ওদের ওরাংওটাং নৃত্য
রুষ্ট,ক্রুদ্ধ হয়ে তীর নিক্ষেপ করেছিল আমার বুকে
আমার তীব্র বিশ্বাসের উপর।
উচ্চারিত অবৈজ্ঞানিক প্রলাপে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে
ওরা আমাকে
আমার বিশ্বাসকে আঘাত করেছিল
একবার নয়, বার বার
কারণ ওরা মৌলবাদী।
নীল আর্মস্ট্রংরা যখন চন্দ্রপৃষ্ঠে
শতাব্দীর শ্রেষ্ট বুনিয়াদী নৃত্যে মাতোয়া
চাঁদের নুড়ি পাথর নিয়ে ফিরে আসে এই নীল গ্রহে
তখনো ওরা আমাকে;
অন্ধবিশ্বাস আর ধর্মান্ধ ফতোয়া দিয়ে
রুষ্ট, ক্রুদ্ধ হয়ে তীর নিক্ষেপ করেছিল;
আমার সতস্ফুর্ত বিজ্ঞান মনস্কতায়
কারণ ওরাও ছিল মৌলবাদী।
আমার বিশ্বাসের এখনো মৃত্যু হয়নি
দুঃসাহসিক নীল আর্মস্ট্রংদের অবিশ্বাস্য যাত্রায়
ওরা এখন ছিন্নভিন্ন;
চন্দ্রপৃষ্ঠে মৌলানার মুখোচ্ছবি দেখতে পেয়ে
ওদের চলছে হিজরা নৃত্যের শ্রেষ্ঠ সং
আমি অবিশ্বাসী না হলেও
ওরা আমাকে জাহান্নামের আগুন দেখিয়ে দেয় বার বার
স্মরণ করিয়ে দেয়
ওরা এখনো মৌলবাদী।