তোমাকে রুখতে পারে
সেই ক্ষমতা কে রাখে ?
আমার তো নেই !
কারো আছে কিনা
আমার তাও জানা নেই।
কী ভীষণ প্রয়োজনে সেইদিন
জন্মেছিলে এই ভূখন্ডে !
আহা,তোমাকে জন্ম দিয়েছিল
আমার এই প্রিয় জননী
ভীষণ ভালোবেসে
নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে
বিশেষ প্রয়োজনে।
জননী আমার অনেক ভালোবেসে
পয়দা করেছিল তোমায়
মুখে মধু দিয়ে নয়-
বন্দুকের নল হাতে দিয়ে।
তুমি কি জানতে তুমি ছিলে নির্ঘাত বেজন্মা?
কারণ তোমার জন্মে ছিলনা কোনো যৌন সহবাস
কারণ তোমার জন্ম-সময়ে ছিলনা কোনো
সুতীব্র চিত্কার !
ছিল কি উলুধ্বনি কিনবা কর্ণকুহরে
বিনম্র আজান ?
তুমি কি জানতে না?
নবজন্ম মানেই বিবস্র আগমন।
হায় ! কী এক কুটকুটে কালো পোশাকে তোমার জন্ম।
জন্মের সময় না দিলে কান্না, না দিলে হাঁসি ।
হাঃ হাঃ হাঃ- তুমি তো বিবস্র ছিলেনা !
জন্মের সময় জগতময় করে দিলে অন্ধকার!
ভেবেছিলে দেশটাকে অন্ধকারে রেখে
চেঁটেপুঁটে খাবে!
বেজন্মা তুমি-
তুমি খুনি
তুমি লোভী
তুমি অপহরণকারী
তুমি গুম,খুনের নাটের গুরু।
তুমি বহুরুপী-
কখনো সাদা
কখনো কালো পোশাকে।
তোমার তৃষ্ণার্ত বিবেক চুষে নেয়
রক্ত,রক্তের লোহিত কনিকা।
কেড়ে নেয় মায়ের সন্তান
সন্তানের বাবা।
কারো স্ত্রী,কারো স্বামী ।
তুমি ফুটু করে দাও
মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র
কখনো ফুসফুস আর শ্বাসনালী ।
তোমার তপ্ত পিপাসায় শুকিয়ে যায়
শীতলক্ষ্যার ঘোলা জল
নেমে আসে রক্তের ঢল্।
তোমার শকুনী দৃষ্টিতে
বেড়ে যায় বেওয়ারিশ লাশ
লাশের মিছিল।
তুমি চূর্ণ বিচূর্ণ করে দাও
গৃহস্থের সোনালী স্বপ্নের
নরম অনুভূতি ।
তোমার বিষাক্ত ছোবলে  
বিবেকের দেয়াল ভেঙ্গে
পালিয়ে বেড়ায় সে-তিনি-উনি।
ওরা কেউ খুনি নয়-
ওরা সবাই ফেরারী
তোমার ভয়ে সত্য প্রকাশে
ওরা ভীত।
ওনাকে, তাকে,ওকে মুর্খ ভেবে
তুমি জনপদ করেছ মৃত্যুপুরি।
চেতনায় তুমি দেশ বিরোধী না হলেও
জীবন বিনাশে তুমি হতে চেয়েছো
শ্রেষ্ঠ নপুংশক  রাজা ।  
নেড়ি কুত্তার খামখেয়ালীপনা  ঘেউ ঘেউ
তোমাকে দিয়েছে বল প্রয়োগের
অসীম সাহস।
হাঃ হাঃ হাঃ তুমি এখন
আইনের কাঠগড়ায় !
এক সংকর জাতের
হাইব্রিড বেজন্মা তুমি!
বেজন্মার আবার জাত কি?