কী লিখব বলো? যা লিখতে চাই,
তাতেই আটকে যাই।
কখন যে জব্দ করে থামিয়ে দিবে
আমার দুটো হাত; নয়তো মুখ ।
যুগল চোখ? সে তো কবে থেকেই বন্দী
তোমার চপল কামুক চোখে,
কার সাধ্য আছে তা কেঁড়ে নেয় ?
দুটো হাত, পোড়া মুখ সেও বন্দী তাঁদের কাছে।


ভয়ে কেঁপে উঠি কখন না জানি তুমি
ফিরিয়ে দাও চোখ দুটো আমার হাতে;
অবারিত ক্ষমতার ঘোলা জলে-
তাঁরাও আবার কখন যে গলা চেপে ধরে !


খুব অবাক হইনা এখন আর; তবু ভীত হয়ে পড়ি
কখন তাঁরা বলে উঠে,  
উঁচু-নিচু আদালত শুধু তাঁদেরই থাকা চাই।
ওরা আমার দুঃখ দেখে কিন্তু কষ্ট বোঝেনা
ওরা কনটেম্পট অব কোর্টস বোঝে, কিন্তু
আইনের শাসনের খেলাপ দেখে না।
ওরা লাশ কাটা ঘরের রক্ত চুষে খায়  
নৈতিক স্খলন বোঝে না ।
ওরা রাষ্ট্রে নাগরিকের অংশীদার বোঝে
আমার সার্বভৌম ইচ্ছা প্রয়োগের অভিপ্রায় বোঝো না ।


আমি কী কারোটা খাই? নাকি কারো বিছনায়
অভিসারে যাই ?
ইচ্ছে হয় আমার অধিকারের কথা চেঁচিয়ে বলি।
বলতে পারো আর কত তামাশা দেখব আমরা ?