আহা কী তেলেসমাতি !
ফার্নেসের বিক্ষুব্ধ তরঙ্গেও খুঁজে পায়
স্বর্ণালী শিশির ভেজা প্রাণ;
যেন প্রাতে, ঘাস ফুলে জড়িয়ে থাকে
অভিমানী বালিকার তীব্র আহবান।


খোলসটা পাল্টে দাও এবার
লাভ-ক্ষতির হিসেব
কষে দেখো একবার; দ্যাখো,
তৈল প্লাবনের ঝাঁঝালো স্পর্শে
শ্যালা নদীতে বেঁচে আছে মাছেরা
কী নিদারুণ কষ্টে !


সুন্দরীরাও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আগুনের বুকে
গতরে কালচে আস্তরণ মেখে;
মাছরাঙ্গা পানকৌড়ি কাঁকড়া ভোঁদড়
ফিরছেনা স্বীয় নীড়ে; মন্ত্রক
তোমাদেরই  লক্ষ্যভ্রষ্ট মন্ত্রণা দেখে।


তোমরা দেখেও দেখোনা
জলসমুদ্রে কর্তৃত্ববাদী কারবারি;
তোমরা বুঝেও বুঝোনা
শ্বাসমূলীয় বৃক্ষের করুণ আহাজারি ।


আর নয় তেলবাজি
হয়েছে অনেক তেলেসমাতি;
মন্ত্রকের রাজা তুমি? গদি ছেড়ে পালাও!
জনতাই  জ্বালাবে এবার
ম্যানগ্রোভে বনবাতি ।