বেশ কিছু সময় হলো নষ্ট,
হয়নি তোমার পদধ্বনি,
আন্দোলন করেনি আমার মস্তিষ্ক জুড়ে,


মহা শ্মশানের নীরবতা ভাঙ্গা তো তোমার জোড়া হাতের কনক জোড়ার মেলা।
আদিখ্যেতা বলতে পারো!
তবে আমার প্রেমিক জীবনে একবারই শুনেছিলাম তোমার পদধ্বনি,
যার সৃষ্টি হয়েছিলো সতেজ সবুজ কিংবা শ্যাওলার চুড়ি ফাঁকে সুকৌশলে আমার ফাঁসি হয়েছিলো বটে!


অধিক থেকে অধিকতর ব্যাপৃত হয়ে তোমার প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে তোমাকে ভালবাসতে আমার হৃদপিন্ডকে বাধ্য করলে অগোচরে।


ব্যাথা কমছে অনেকটা কিন্তু, তোমার নিথর প্রয়াণের দুই বাহুতে তো আমাকেই জড়িয়ে নেবার কথা রেখেছিলে শিমুলের অবকাশে।


খুব হিংসে হচ্ছে,
তোমার চুড়ি হতাম যদি!
সবসময় না হোক ইচ্ছে খুশিতে তো তোমাকে ছুঁয়ে থাকাটা হতো।


চূড়া থেকেই জন্ম লাভ করেছিলো আজকের এই সতীন।


বাদ দিচ্ছি অযথা প্রলাপ বাক্য,
তবে জানো কি প্রায় হাজার বছর আগে এর জন্ম দিন হয়েছিল ঠিক একাক্ষর ফসিল জুড়ে,
তারপর শোভা পেলো তোমার হাতের কনক আর্ক জুড়ে।


তবে যাই হোক,
তোমার চুড়ি পড়া ফর্সা হাতের প্রেমে আরো হাজার বছর ধরে পড়তে চাই।
সুযোগ হবে কি?


কবিতা: ইহা একটি অনুমতি পত্র
কবি: ভট্টাচার্য আর্ক
উৎসর্গ: রাজকীয় মৌন তা
লিখা র সময়: ৩০ মে,২০২১ইং
লিখার স্থান: ঢাকা