ঝঙ্কারি বসন্ত বাগে        গাহিলে ভৈরবী রাগে
              মুখরি উঠিল ধরণী!
মনেতে বাসনা জাগে     ললিত পরশ মাগে
             চঞ্চলা চপলা হরিণী।


কাজল আঁখিতে পুলকে  উঠিলে শরমে ঝলকে
            খুঁজিতে পরাণে চকিতে,
জড়ালে রূপের আলোকে  বাহুডোরে বাঁধিলে পলকে
            কহিলে হৃদয়ে রাখিতে!


পষ্পিত সুবাসে রজনী    ঢালিছে রুপালী চাঁদনী  
            তনুতে মাখিলে লাবন্য!
মায়াবী স্নানেতে মোহিনী  ঝড়িছে চাঁদ বদনী
            হৃদয়ে তৃষিত অরণ্য!


পায়েতে নুপুর নিক্কণে    পশিল আকুল পরাণে
            ভাসিল সুখেরি জোয়ার,
সুরভিত কুসুম কাননে    উত্থিত প্রণয় লগনে
            খুলিছে আবদ্ধ দুয়ার!


মধুপ হেথায় ব্যাকুলি       আসিল গুঞ্জরিয়া সকলি
            মধুর লাগিয়া তাগিদে!
পুষ্প পরাগে কাকলি     মাতিল সুখেতে বৈশালী
            চড়িল প্রেমের পারদে!


শানিত চোখেতে চাহিয়া   পরাণে উঠিছে নাচিয়া
            দেখিনু প্রেমেরি আকুতি!
হৃদিতে কোকিলা পাপিয়া  কুহু পিহুতে ডাকিয়া
            করিছে তাহারি আরতি।


বাসিলে ভালো দোঁহারে   জড়িয়ে সোহাগে চাদরে
              বাঁধিলে মায়ার বাঁধনে,
হৃদয়ের সিক্ত আবিরে     রাখিলে সুরেলি লহরে
              প্রেমেরি সাত কাহনে।