আমার আগমনিক্ষণে, উঠানে দাড়ানো দাদার প্রসারিত দুই বাহু;
এই পরশের জন্য যে পাড়ি দিতে পারি পথ বহু!
দাদির হাতের মুড়িঘণ্ট আর ফিরনীর নেই জুড়ি,
ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে যান, আছে গল্পও ভুরি ভুরি!


ভোরের প্রথম মধু-মাখা রোঁদ মেখে নিয়ে চলি হেটে,
সঙ্গী আমার অকুতোভয় তন্ময়,যার কারণে ঝিনেদা এখনো আছে টিকে!
প্রাচীন কবরস্থানটা তখন এক স্বর্গের উদ্যান,
আড়ম্বরে ভবে আসি মোরা, করি নিরবে প্রস্থান।


মধ্য-দুপুরের প্রখর রোঁদেও ছুটে চলে নিতাই দাদুর প্রজন্ম বয়ে বেড়ানো রিকশা,
বিকেলে আছে মফিজের দোকানে ভুবনমাতানো মালাই-দুধের চা!
হাজারো নক্ষত্র-খচিত মায়াবী রাতগুলোয় জোছনার আলো আর দখিনের দমকা হাওয়া।
ঢাকার আকাশ বড্ড ফ্যাকাসে, এখানে প্রতিনিয়তই চলে
ধূমকেতুর আসা-যাওয়া।


বিদায়বেলায় বাড়ির আঙিনায় অশ্রুসিক্ত দাদার ব্যাকুল মোনাজাত;
দাদিও আড়ালে, ডুকরে কাঁদছেন, মুখ ঢেকে আছে দু'হাত।
আমি ফিরে যাবো বারবার, আমার অস্তিত্ব-শেকড়ের টানে;
সমর্পণ করবো নিজেকে, ভালোবাসার অত্যাচারে।