"ধরণীর প্রকোষ্ঠে কাঁদিছে রূপ
মুক্ত করো হে আমারে
আমার যা কিছু শুভ সঞ্চয়
সওগাত দিনু তোমারে।
কোথা হতে তুমি আসিয়াছ সখা
কোথা তুমি নিয়ে যাবে
ধূলোর পরতে সবুজের স্রোতে
চরণ চিহ্ন রবে ।
মুক্ত করো বিষাদসিন্ধু
মুক্ত করো অঙ্গারে
আমার যা কিছু শুভ সঞ্চয়
সওগাত দিনু তোমারে।"


সেই মন কেমন করা কণ্ঠস্বর!
ক্রিয়েট্রা তাড়াতাড়ি খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াল।
তাকে দেখেই পাগলটা ছুট্টে পালিয়ে গেল।
কে জানে, কোন কাঁটা ঝোপের আড়ালে গিয়ে লুকোল আত্ম রক্ষার্থে।
কালে অন্তরালে তার গায়ে  এঁকে দেওয়া অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন,
সে ভয় পায়।


ক্রিয়েট্রা কাঁটাঝোপ হতে পারে না-
পারেনা, আত্মরক্ষার উপাদান হতে
ক্ষত চিহ্ন সারিয়ে তুলবে, সে সামর্থ্যও ক্ষীণ
সে শুধু কল্পতরু,
ইতিহাসের সাক্ষ্য মাত্র
অসংখ্য ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক,
আশ্রয়দাতা হতে চাইলেও
পাগলটা বিশ্বাস করে না।
বহু ঘাতে প্রতিঘাতে তার সে বিশ্বাস ভেঙে গেছে।