সবাই এল।


চাঁদের বাড়ি থেকে মেঘ এল,
তারার উঠোনে ভোর এল,
বাগান থেকে রজনীগন্ধা এল
ছেলে,মেয়ে, বৌ রা এল
ও পাড়ার গয়লা মাসি, সেও এল।
যারা কোনোদিন আসেনি তারাও এল।


কারো মুখে হাসি,কারো স্বস্তি
কারো চোখে একফোঁটা জল অজানার
কারো হুহু করে ওঠে বুকে, স্মৃতি
মৃত্যুর পরোয়ানায়।
ডাক্তারও বলে গেছে ,আমি নেই।
বন্ধ চোখে সময়ের কোলাজ
এ মুহূর্তে হাতড়ে বেড়াচ্ছি
ঘরের চতুষ্কোণায়।


চারু ,এক কাপ চা দিবি,আদা দিয়ে?
গলা বুজে আসছে।
ঠান্ডাও লাগছে খুব
চাদরটা খুলে গেছে খেয়াল করেনি কেউ।
একটা দীর্ঘ প্রত্যাশিত মৃত্যুর পরেও তোর যে কেন এত ছেলেমানুষি বুঝি না!
এদিকে আমি মরছি তোর অপেক্ষায়
আর তুই বৈরাগী হয়ে কোথায় যে চলে গেলি সেই রাত দুপুরে
কাকেই বা বলি?
কেই বা খবর দেয়?
এমন ব্যস্ত সময়েও একটা নতুন গল্প ফেঁদেছি
এত ভিড়েও সে গল্পে শুধু তুই আর আমি।
ওদিকে গোছগাছ শেষ হল বলে,
এবার ওরা আমায় বের করে নিয়ে যাবে এ ঘর থেকে
এখনি তুই না এলে দেখা হবে না আর কোনোদিন।


বৃথা যাবে গল্পটা
বৃথা হবে কান্না তোর
কত কাল চেয়ে আছে মাঠ
শেষ নিঃশ্বাস ছুঁয়ে ,চারু
এ গল্পে অধিকার  শুধু তোর
বিদায়ের শেষ ঋণে।