||১||
                
"বিষাদ"


তীব্র বিষাদের মাঝেও বৃষ্টি নেমেছে আকাশ ছেয়ে
বা হয়তো বিষাদ বলেই, বিষণ্ণতা কাটাতে।
কখনও একঘেয়ে তার শব্দের ধৈর্য্যে
আচমকা ভেদ পড়ে বজ্রপাতের প্রাবল্যে।
বিদ্যুৎ নামে মাটিতে। মিলিয়ে যায়।
আঘাত নিয়ে দুপাশের আঙিনায়।
দূরে থাক। অমন আকাশ দূরে থাক মাটির থেকে...
উত্তাল নদী দূরে যাক পাড় ভুলে।


                        ||২||
"সেতু"


তীব্র বিষাদের মাঝেও বৃষ্টি নেমেছে আকাশ ছেয়ে
বা হয়তো বিষাদ বলেই, বিষণ্ণতা কাটাতে।
মাঠ থইথই জল
ডাহুকের আজ বিরাম নেই
বড় উচ্ছ্বাসে সে এ মাঠ থেকে ও মাঠ
এ পথ থেকে ও পথে খেলে বেড়াচ্ছে।
একশো বছর ধরে সে যেন এমন দিনেরই অপেক্ষায় ছিল
কে জানে! আজ মনে মনে হয়তো বলছে , বৃষ্টি তুমি থেমো না।


মেহগনির কাঠে ঠেস দিয়ে একটা কাঠঠোকরা বহুক্ষণ শান্ত হয়ে বসে,
উচ্ছ্বাস নেই, ঢেউ নেই তার মনের ভেতর ,ওই ডাহুকের মতো
কোনো এক অজানা উদ্বেগে এই ঝোড়ো বর্ষাতেও তার মুখ চোখ ভারি, শুকনো দেখাচ্ছে।
কেন?
চেয়ে রইলাম তার দিকে,কাউকে খুঁজছে সে।
"কাকে খুঁজছ কাঠঠোকরা? "
সে বলল, "যাকে রেখে গিয়েছিলাম তাকে-
কেন ? তোমার কাউকে খুঁজবার নেই?"
"খুঁজবার ..
তাই তো!
আমার কাউকে খুঁজবার নেই?"


আমিও তো কারও খোঁজে বেরিয়েছিলাম একদিন
তখন সন্ধ্যাবেলা
অনেক হারা-জেতার খেলা
কে কোথায়! আমার কাছে ,শেষবেলা।
মনে পড়ে, আয়নায় ভাসা ভাসা মুখ
ছাদ ফুঁড়ে আকাশ যেন ঘরের মধ্যে নেমেছে ।
ঘরের ভিতর ঝাপসা,অন্ধকার
আয়না জোড়া অসংখ্য মূর্তির চিৎকার
আমি, আমি, আমি... ....
কিছুতে থামে না তারা আর
বিষাদ মূহুর্তে ঘিরে  বিষণ্ণতার হাহাকার
একবার, শেষবার।


তারপর,
ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে গেল কারা
অঝোর বৃষ্টি থেমে,  উঁকি দিল দুটি তারা
কিনে দিয়ে গেল তারা সবুজের দামে
জ্যোৎস্নার রঙ ঢেলে সবুজের খামে
হারানো ডাকের চিঠি ফিরে এল আবার ..... ডাকনামে!