রঙ্গমঞ্চ,বুঝলে,
কালো পর্দার পিছনে রঙচঙে মুখগুলো
মাঝে মাঝে হাসে,কাঁদে,
কথা বলে,
আবার থেমে থাকে নিস্তব্ধতায়।
সৃষ্টির অগ্রগণ্য প্রেমিক যারা
যারা সারেঙ্গীর সুর হৃদয়ে বয়ে বেড়ায়,
যারা ভালোবাসে চারুকেশী রাগ,
প্রথম সূর্যের আলো,
শেষ রাতের প্রহর গুনছে।
কঠিন, জানি কঠিন সে তপস্যা,
কঠিন সে গণণা;
যে পথ নীরবে ঢেকে যায়,অনিচ্ছায়-
বনানী তে ,
কাঁটাঝোপেড় শেকড় শত চেষ্টা করলেও তুলে ফেলা যায় না!
রক্তাক্ত হাত, রক্তাক্ত হৃদয়,
কঠিন ,জানি কঠিন সে ফেলে আসা
জানি,কঠিন অমাবস্যার রাতের মতো,
না না ... রাত নয় , রাত নয়,
কালো নয়, সবুজ , রঙ, লাল ,নীল,
হ্যাঁ অরোরা, বোরিয়ালিস কিংবা অস্ট্রালিস , রঙের খেলা
ভীষণ মায়া।
সেই অসম্ভবের চোখে চোখ মিলাতে
যারা ছুটে চলে মেরুর পথে,
ক্লান্তি বয়ে চলে অবহেলিত শরীর;
ওরা থামে না।
তারপর কখন হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ে
ভাঙা স্বপ্নের স্তুপে।
অনেক সুখে হারিয়ে যায় দুঃখগুলো,
হ্যাঁ হ্যাঁ দুঃখগুলো,
প্রেমিক হওয়ার দুঃখটাও,
করাতের আঘাত ছিন্ন করে না তখন,
রক্তশূন্য গুঁড়ির পাশে নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা...
ভুলে যেতে চায় শিশুর জন্মের কষ্টটাও
নির্বাক, শুধু নিশ্চুপ হয়ে  দাঁড়িয়ে থাকা।


একটা প্রাণ অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকে,
সারেঙ্গীর ছেঁড়া তারগুলোর দিকে
সেই সুর,সেই দুঃখবরণ সুরটা
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে-
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে ....