সরোদ হোক বা সারেঙ্গী
মূর্ছনা তো রাগে।
দক্ষিণ কোণে গোলাপ গাছটি,
সন্ধ্যে নামার পরে যে ছড়ায় সুবাস
বিপ্রতীপ সুখ অঙ্গে ভরে,
খোঁপায় সাজানো কাঁটা;
আজ হয়তো ভুলেই গেছে
ধরণীর মাটিকে।
ছোট্ট চারার শেকড় থেকে মাটি খুলে নিয়ে
যেদিন লাগানো হল বাহারি টবে,
সেদিন থেকে বিচ্ছিন্ন ওর সমাজ,আলো,অন্ধকারটাও।
সুগন্ধের ঐশ্বর্য্যে ক্রমশ ডুবতে থাকা রাতের শেষেও
দিন আসেনি ওর জীবনে,
ভুলতে ভুলতে ভুলেই গেছে নিজের মুখখানা,স্বপ্নগুলো।
ফেরার পথ নেই,এগিয়ে যাওয়ার ও..
শুধু কোনো বাদল দিনে কাঁচের গায়ে মুখ লাগিয়ে যখন ভিজতে চাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায়
কেঁপে ওঠে শরীর,শীতলতায়
তখন বড্ড ইচ্ছে করে প্রেমিকের ডায়রিতে লুকি‌য়ে রাখা শুকনো গোলাপ হতে।
সরোদ হোক বা সারেঙ্গী
মূর্ছনা তো রাগে,
অনুভবের তো কোনো কলঙ্ক নেই।