হঠাৎ একদিন দ্বিধার অরণ্যে
ঘন কুয়াশা,
কালো, বাদামি, ধূসর গাছে
ছেয়ে আছে চারপাশ।
পাতা নেই।
অভিযোগের দন্ড হাতে
অতীতের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
অচল!
ভেবেছিলাম, সেই অতীতের কবর থেকেই
দু-একটি রত্ন মানিক তুলে
বসাব ওদের চোখের সামনে
যদি বোঝে; সূর্য উদার।
ওরা চোখ বুজে থাকে ঈর্ষায়,
পিঠ করে শুরু করে সমালোচনা
কেউ কেউ অভিভূত হয়ে ঐতিহ্যকে পরমাণুতে ভেঙে ফেলে,
ভাগাভাগি করে,
নিউট্রন আমার, প্রোটন তোমার
কিন্তু কেউ ইলেকট্রন হতে চায় না।
ওরা স্থবির,
ওরা ভীরু
ওদের বাঁচতেও ভয়,মরতেও ভয়
জন্মের শেষে মৃত্যুর আগে মুক্তির মাঝে
কোন একটা অবস্থায় আটকে পড়েছে ওরা।
একজন দৃষ্টিহীন মানুষ হিসেবে
আমি চোখে বিশেষ কিছু দেখি না,
শুধু শুনতে পাই ওদের ভিতরকার গুঞ্জন
কানাকানি,পরিহাস-
জীবন ওদের কাছে পরিহাস;
তাই তো বছর বছর ওদের শেকড় থেকে জন্ম নেয় নতুন চারা,
ওরা বাঁচতেও চায় না, মরতেও চায় না,
দিনের শেষে অট্টহাস্যে কুমিরের কান্নাগুলোকে জুড়ে বসায় আসর,
ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চাঁদ,
আলোর দিকে পিঠ করে ওরা এগিয়ে চলে অন্ধকারের দিকে।।