(দুইটা কাঠঠোকরা, একজনের নাম 'টেঁটি' আর একজনের নাম 'পুঁটি' ... ওদের ছোট্ট একখান পরিবার (দুইটা পোনা তিনটা ছানা )... কাঠ ঠোকরের ফাঁকে দুনিয়ার খবর রাখে..আর গপ্পো করে বাসায় ..... আমি ওদের বন্ধু,ওদের গপ্পো আসরে আমার এন্ট্রি ফ্রি ...হে হে... তা সেদিন হরিরামের কান্ড বলল, রেকর্ড করে রেখেছি ..শুনবে?..)



"বংশপ্রচার"


কোথা থেকে হরিরাম শুনেছে সে কথা
বাঁশ খায় মানুষে থুড়ি "বাম্বু" বলা প্রথা,
সেই থেকে এলোমেলো, মাথা গেছে ঘুরে
টন টন রাশি রাশি বাঁশ তার ঝাড়ে।
ভাবল সে প্রচারিবে বাঁশ খাওয়া যুক্তি
চাষ বাস তুলে দেবে কৃষকেরে মুক্তি।
প্রতি ঘরে খাবারের থোড় বড়ি খাড়া
বদলাবে রুচি সে দিয়ে "বাম্বুড়া",
আদা দেবে দুই ছিলি সাথে ধানি লঙ্কা
রসুনের কলি দেবে নাই কোনো শঙ্কা।
কচি,পাকা,মূলিবাঁশ একসাথে মিলিয়ে
রাঁধবে সে "বাম্বুড়ি" কোমরটা দুলিয়ে,
পকোড়াও থাকবে, সাথে "বান্দুরী"
চেটে পুটে খাবে লোকে ভুলে যাবে পুরী।
রেসিপিটা হলে চালু থাকবে না চিন্তা
হরিরাম বাঁশ বেচে কাটাবে জীবনটা।
তার আগে খাওয়া চাই,স্বাদটা তো চাখা চাই
"উফ বাবা কঞ্চি! এত করে কি ছাড়াই?"


(কিছু পরে)


হেঁচে কেশে ধূলো খেয়ে বসে পড়ে মাটিতে
গোড়া ধরে কামড়াল চাপ দিল পাটিতে,
তক্ষুণি হায় হায়! দুটি দাঁত খসে গেল
দাঁতে চেপে বাঁশপাতা তাও বুঝি মেনে নিল।


(এবারেতে)


রেগে গিয়ে হরিরাম তর্ তর্ গাছে উঠে
বসল যে মগডালে বাঁদরের মতো সুখে,
কচি ডগা দেখে তার জিভে এল জল
গপাগপ পুরে মুখে চিবায় অনর্গল।


কিছুপরে জিভ মুখ ফুলে লাল ঢোল
রোঁয়া বিঁধে অনাসৃষ্টি- হরিরাম হরিবোল।


অধুনা বাঁশাতঙ্কে ভুগছে যে সে,
গপ্পের ঘিঁচিপিঁচি ফুরোলো ই'সে।।


###(গপ্পো -১ (চশমা) এবং ২( দন্তরক্ষা) টি এলোমেলো ছন্দের মধ্যে পোস্ট দিয়েছিলাম প্রথমে।পরে সম্পাদনা করে দিয়েছি। তাই জন্য আজ সরাসরি ৩😅)###