একটা ক্ষত বিক্ষত মন,
সহস্রকালীন বিশ্বাসের ভিত্তি খুঁজতে চেয়েছিল।


আংশিক ইতিহাস, চোখের জলে ঝাপসা হওয়া কিছু দৃশ্যে সকরুণ প্রার্থনা ।
শ্রুতিবাক্যের অকাট্য উচ্চারণ দাপিয়ে বেড়াত মগজের সর্বত্র।
‌নিরাপদ জীবনের আকাঙ্খায়,অনুভূতির উপর রঙ সাজানো হল অপরূপ ভাস্কর্যে।
আর দীনতার মানদন্ডে হার না মানা  কন্যা-গৃহিণীর অসামান্য অজুহাত,
এই তো ছিল।


তারপর যুগ অতিবাহিত হয়েছে ,
পৃথিবীটা এক হতে হতে বিভেদের রেখায় খন্ডবিখন্ড হয়েছে,
কত কি যে আবিষ্কৃত হয়েছে এর পরে তার ইয়ত্তা নেই,
আমরা জন্মেছি,হাঁটতে শিখেছি,প্রযুক্তিকে নিয়ে খেলতে শিখেছি।
তবুও উন্মাদের মতো ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাই ইচ্ছাপূরণের আশায়।
কার আশীর্বাদ,কীসের আশীর্বাদ
জীবন কি দেয় এতটুকুও তারে
যে কেবলই চেয়েছে
বরং পেয়েছে যা ,প্রাপ্য তা শ্রমের বিনিময়ে।


সর্বহারা নয়কো যারা,কিসের লোভে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তীরের(শরের) মুখে
শিকারি ঐ গ্রাসে যে তার রক্ত-মাংস-মন,
নৌকো তোমার, বাইও তুমি নিজের মতো
ওদের হাতে লাগাম দিলে তল হারাবে অবিরত।
একটা ক্ষত বিক্ষত মন,
ঐ বিশ্বাসের ভিত্তি খুঁজতেই গিয়েছিল
জানো কি পেয়েছে?


বিশ্বাস-অবিশ্বাস,যুক্তি-তর্ক ,ইতিহাস-   বর্তমান কে ছাপিয়ে  সেই মনটা দেখে একপাশে অযত্নে পড়ে আছে অসংখ্য পুঁথি,
ছকে বাঁধা কাহিনি সব
সুনিপুণ গাঁথুনিতে বিস্তৃত কল্পনার সাম্রাজ্য
সমাজের চিত্ররূপ।
হৃদয়ানুভূতির লালিত্যে পালিত অমূল্য সাহিত্যসকল।
সর্বরূপে সমৃদ্ধ সাহিত্য ধন।