মাঝে মাঝে মনে চায়, তোমারে নিয়ে করি গল্প রচনা, করতে চাই তোমারে অনুবাদ কিন্তু


তোমাকে অনুবাদ করে শেষ করতে গেলে
আমাজন বনের গাছ দিয়ে কলম, আর আটলান্টিকের জলরাশি দিয়ে কালি, বানিয়ে লিখলেও তোমাকে অনুবাদ করে শেষ করা যাবেনা।


তোমায় অনুবাদ করতে করতে
মন চায় উঠে যাই কিলিমানজারোর সহস্র হাজার  কিলোমিটার উচ্চতায়।


তোমায় অনুবাদ করতে করতে তোমার হাত ধরে চলে যেতে চাই
সাড়ে বাইশ কোটি বছর আগের পেনজিয়া নামক মহাদেশে।


অনুবাদের নেশায় ছাড়িয়ে যেতে চাই সিরাস,স্ট্র‍্যাটাস,  কিউমুলাস  নামক মেঘের আস্তরণে।


আকাশের মেঘের ভেলা আর ট্রিটিনিয়ামের বিচ্ছুরিত উল্কাপিণ্ডে উড়ে উড়ে প্রচার করতে চাই তোমার কাহিনী।
কিন্তু
তোমার চোখের অন্তরালে ফুল ফুটে ঝড়ে যাই। মাঝে মাঝে কবিতার লেখনীতে তোমায় খুজে বেড়াই।


আমার কেনা প্রতি টা কলমের কালিতে লিখেই যাই তোমার বর্ণমালা।


হঠাৎ লিখতে লিখতে ফুরিয়ে যায় আমার কলমের কালি।
ফুলের মায়া ছাড়তে পারে না যা-ই হয়ে যাক তার মালী।


একটা সময় একাকিত্ব বোধ করলে,  তোমাকে ভেবে যার একাকিত্ব হয় দূর।
সে কি পারে তোমারে বিলিয়ে দিতে?
অন্যথায়।


তাই আমি তোমায় ধারণ করেছি আমার মনোরাজ্যের অতল গহব্বরে। তাই অনুবাদ করে উন্মুক্ত করতে চাইনা।ভালো থাকো, লক্ষ কোটি বছর ধরে।