দীপ্তা,
শ্রাবণের গভীর রাতে নিয়েছ বিদায়।
হায়! তারপর কত বর্ষা রাত,
শরতের মেঘ উড়ে গেলো,
হেমন্তে সোনার ফসল কৃষক ফলালো,
জড়োসড়ো শীতের সকালে খেজুরের রস
তৃষিতের তৃষ্ণা মিটিয়ে বিবর্ণ বসন্ত এলো,
গ্রীষ্মের দাবদাহে দগ্ধ হয়ে
আজো আমি এখানে দাঁড়িয়ে
কঠিন মৃত্তিকার 'পরে।
জন্ম যদি থাকে তবে
তুমি আজ ন' বছরের মেয়ে।
নিশ্চয় জন্মদিন পালন হয়েছে!
কোন ক্লাসে পড়ো?
গ্রাম নাকি শহরে বাস করো?
তোমার কিশোরী জীবন, প্রজাপতি মন
ঘুরে বেরাও দিগন্তের ধারে।
বেমালুম ভুলে গেছ রেখে গেলে যারে।
কোন কথা, কোন স্মৃতি কিছু মনে পড়ে?
দীপ্তা, তুমি আজ ন' বছরের মেয়ে।
এমনতো হতে পারে সে তোমার অন্য পৃথিবী।
কোন মিল নেই এই এখানের সাথে।
কোন মিল নেই এই দিন-রাতে।
এমনতো হতে পারে সব কিছু পেয়েছ সেখানে
কোন ব্যথা, কোন কষ্ট নেই, নেই কোন জরা
সময়ের স্রোত নেই, বার্ধক্য আসে না সে ধরা।
বিদায়ের ব্যথা নেই , নেই সেথা কোন সূর্যোদয়,
নেই কোন ক্ষয়।
একটি কথাই শুধু সত্য বলে জানি-
সৃষ্টির শুরু থেকে যা কিছু ছিল
এখনো তা ঠিক ঠিক আছে।
সেইভাবে তুমিও রয়েছো,
মহাবিশ্বের কোন ছায়াপথ, কোন গ্রহ, অন্য কোন খানে।
শত কোটি বছর আগে বিশ্বের শুরু,
সে ছবিও ধরা পড়ে জেমস টেলিস্কোপে।
অথচ ন'বছর আগে তোমার প্রয়াণ,
তার আগে তুমি ছিলে, ছিলে এই ঘরে,
সে চিহ্ন থাকবে না বলো কেমন করে!