আমার ঘরের দখল এখন আমার হাতে নেই,
মুখ ফেরালে যেই। শ্রাবণ মাসের গভীর রাতে,
নিয়ে গেলে সবই সাথে,
কিছুই তো আর আগের মত হয়না কিছুতেই।
চারপাশেতে টিকটিকি আর তেলাপোকার বাস, উইপোকাতে করছে সর্বনাশ।
পোকা মাকড় ইদুরগুলো, কাপড় চোপড় বালিশ তুলো,
কেটে কুটে সব একাকার আমার সকল আশ;
ওরাই যেন মালিক এখন আমি ওদের দাস।
ধোয়া মুছা হয়না কিছু, নিঃসঙ্গতা পিছু পিছু করে অবস্থান। সন্ধ্যা হতে না হতেই মশার ঐক্যতান।
জানালাগুলো হয়না খোলা, পর্দাগুলো উপরে তোলা,  বইগুলো সব এলোমেলো বলছে সবাই সবই গেলো,
এটা ফেলো ওটা ফেলো,
জীবন যেন ছিঁড়ে যাওয়া অকেজো এক তাস।  
সিলিং আর ফাঁক ফোঁকরে মাকড়শার জাল,
সকলই বেহাল।
মেঝের মাঝে ধূলোর আস্তরণ,
মশারিটা টাঙানো সেই থাকবে আমরণ।
অনেক সময় হয়না নাওয়া, রান্নাঘরে হয়না যাওয়া, ঠিক মত হয়না খাওয়া, যক্ষপুরির যক্ষ যেন একা একাই বাস।
বিশাল এক রাত্রি আসে, আমাকে খুব ভালোই বাসে,
জাগিয়ে রাখে ভোর অবধি
ঘুমের আগে ঘুমাই যদি
আমি তো তাই করতে থাকি এপাশ আর ওপাশ।
আমার এটা জীবন কি নয়?
ঠিকই তো যাচ্ছে সময়!
থমকে গেলে না হয় ছিল ভয়।
ধীরে ধীরে বেদখলে
সকলই তো যাচ্ছে চলে
এমন করেই ছিন্ন হোক না জীবনের নাগপাশ।