আমি ব্যর্থ হয়েছি নিজেকে প্রকাশ করতে।
সম্পর্ক গড়তে তোমাদের মনের মতন।
এত যতন করেও সাঁকোটা গড়া গেল না।
অনেক দিন মাস বছর পেরিয়ে
পেল না সে চূড়ান্ত রূপ।
আমি জানি-
সব সম্পর্ক শেষাবধি টিকে থাকে না।
ছুঁতে পারে না জীবনের দিগন্ত রেখা।
হয় তো দেখা হবে, হয় তো আর কখনো হবে না।
কিন্তু করাত কলে ধাতব ব্লেডের নীচে হৃদপিণ্ডের ব্যবচ্ছেদ কেন হবে?
আমি তো বৃক্ষ ছিলাম না।
আমাকে কি তোমরা তাই মনে কর?
ধরো আমি ভাষাহীন বৃক্ষই হলাম।
আমাকে কি যত্ন করা যেতো না?
আমাকে চিড়ে দেখার কোন কারণ তো দেখি না।
না হয় চিড়তেই হলো।
কিন্তু বলো সেই চিড়া এত কষ্টদায়ক কেন হবে?
তোমরা কি দেখো না-
গর্ভজাত সন্তানের নাড়ি না কাটলে
সে মায়ের বুকে উঠে আসে না।
নাড়ি কাটলে সম্পর্ক তো শেষ হয়ে যায় না।
কথার হুল ফুটিয়ে, হৃদপিণ্ড রক্তাক্ত করে
বিদায় বলতে হবে কেন?
তোমরা কি জানো না,
বৃক্ষেরও স্বাধীনতা আছে।
সেও মাটি ফুঁড়ে মাথা উঁচু করে বাঁচে।
আমি পরগাছা ছিলাম না।
সব দায় আমায় কেন বইতে হবে?
আমার দিকে মুখ ফেরাতে হবে না।
অতীতের দিকে ফিরো-
ধীরে ধীরে সব পাতা উল্টে দেখো।
বিবেকের পাতায় লিখো কার ভুল কতটুকু?
তারপর পাতাগুলো মাটি চাঁপা দাও।
এবার যেতে পার, যাও।