প্রতিদিনের গণ্ডিতে আবদ্ধ জীবন খোঁজে সাময়িক অবকাশ
ক্লান্ত মনের হিসাব কেই বা রাখে হাঁপিয়ে ওঠে মন
মুখোরচক খাবার ও বিস্বাদ, খাওয়া হয় যেমন তেমন
আসলে গণ্ডি পেরিয়ে চায় সামান্য হলেও তাজা বাতাস।


দায়িত্বের হাল ভাবনার দাঁড় সব ফেলে চায় যেতে ঊড়ে
ভাবনার ঘর ছেড়ে দুহাত বাড়িয়ে প্রকৃতিতে মেলে পাখা
শিশির ভেজা মাটির গন্ধ অথবা সবুজ ঘাসের ডোগা
যা পাওয়া যায় পথে তাতেই যেন রসদ জমে ভাঁড়ে।


কপাল ফেটে শিশিরের সাথে চুঁইয়ে পড়া খেঁজুরের সার
গ্রামে গ্রামে মন মাতানো সুবাসে বাতাস তৃষ্ণা বাড়ায়
সোনার ফসল হিমে ভেজা শরীরে  আনন্দে মাথা নোয়ায়
আনন্দে কৃষক, শিউলি জাগে, কাজ হয় শুরু তার।


চার দেওয়লের সীমা ছড়িয়ে আকাশের নিচে আগুনের ওম
পাশাপাশি বসে গল্প,  খুশির উত্তাপে দুখ মানে হার
জীবনে কোনটা ঠিক কোনটাই বা ভুল মন ভাবে বারবার
কিছু না থেকেও দুঃখের নেই দায়, শুদ্ধ বাতাসে বেশি কম।


হারানোর কিছু নেই, মন চায় খানিক একান্তে বুকভরা শ্বাস
আরো পথ যেতে হবে, দায়িত্বের বেসামাল বোঝা টেনে
দিনগত হবে নিজস্ব নিয়মে, চক্রাকারে সকল দুর্যোগ মেনে
পেলে একটু নিশ্চিন্ত বাতাস, হলেও তা খনিকের অবকাশ।