কৈশোরেই ছেলেটাকে বেশ বড় লাগত
বর্ষার জলে যেমন ঘাস লতাপাতা বাড়ে
অযত্নে হাসতে হাসতে লকলকিয়ে উঠে
ছেলেটাও তেমনি কাজে, হাসিতে ভরাত  
গাঁয়ের গরীব ঘরে যখন যা জুটত খেত
মাঠে কাজ করত; স্কুলে যেত নিজেই পড়ত
কেউ ছিলনা তার পড়া বুঝিয়ে দেবার।


না ছিলনা কোন কাজে, চেষ্টা ছিল তার
তুচ্ছ করে সব বাধাকে এগিয়ে যাবার
ভয় ছিল না তার; সাহস ছিল বুকে
হাসি তার লেগেই থাকত সুখে কিম্বা দুঃখে
ভোর থাকতে হাল দিত, বেলায় যেত স্কুলে
পড়তে পেলে খিদে তেষ্টা সবই থাকত ভুলে।


স্কুলের শেষে বাড়ি এসেই যেত সবজী ক্ষেতে
যত্ন করে মাটি সরিয়ে জলে ভেজাত চারা
চোখ নাচত খুশিতে, চারা হলে মাটি ছাড়া
কাটত সময় সৃষ্টিতে তার আনন্দে থাকত মেতে
পেরিয়ে গেল কিশোর বেলা, যৌবনের গান শুনে
নানা রঙের কুঁড়িগুলো ফুটছে তার মনের বাগানে
কষ্ট করেই এগোয় ছেলে বাধার বাঁধন ছিঁড়ে
সময়ের সাথে বেঁধে জীবন, লক্ষ রেখে দূরে
বজ্র কঠিন ইচ্ছাতে তার হার মেনেছে বাধা
নিষ্ঠার শ্রম হয়নি বিফল, নেই কোন ধাঁধা।  


সোনারপুর
১৫.০৩.২০