ভাদ্রের ঠাঠা রোদ্দুর, বাতাসের ভ্যাপসা আদিখ্যেতায় জলকণা  
দুইহাতে দুখানা ইট, মনিব বলল নিয়েচল বাছা, নামাবি না
সমস্ত শরীরে আকুলি বিকুলি রজবিলাস, তবুও নামাতে মানা
কেউ আহা বললে দাঁত ছাড়িয়ে, ঠিক কেমন লাগে জানো না !


মনপোষা রাগ গুলো মাঝে মাঝে ঠিকরে বেরুতে চায়
হজম হয় না, বায়ু রোগে কোটি কোটি উদর স্বস্তি পায় না
উপদেশ; ভাষণ সবই প্রায় গুরুপাক, কে কাকে পচায়
মাঝে মধ্যে ফটকা ঢেকুর গলার কাছে, আর সহ্য হয় না।


নির্জলা মিথ্যের তুমুল দাপটে মধ্যবিত্ত পেট ফুলে জয়ঢাক
উপরে বা নিচে হেলদোল নেই, কেউ চোর; তো কেউ ভিখারি
কষ্ট গুল বুকে নিয়ে, নির্বিবাদে মিছিলে পা, সব্বাই মিতবাক
স্বপ্নের ভাঙা সিঁড়ি পেরিয়ে; যাপনের কিনারায় বিশ্বাসের তরী।


অম্বলের রুগী সদাই বিরক্ত ভাব, কষা গোস্তর সুঘ্রাণে বাতাস মাত
নিউমোনিয়া আক্রান্ত ফুসফুসে দোয়ার পানি, আশায় কাটে রাত
হাতুড়ে ইউনানি কবিরাজি সব ফেল, চিতার কয়লায় আগুনের খোঁজ
সব ঠিক হ্যায়; মুসাফির হ্যায় জিন্দেগী, কেমন লাগে ভাষণ, একটু বোঝ।  


সোনারপুর
৩১.০৮.২০১৯